• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইউক্রেনে অভিযানের কারণ ও ভবিষ্যৎ জানালেন পুতিন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২২, ০৯:৪৬ পিএম
ইউক্রেনে অভিযানের কারণ ও ভবিষ্যৎ জানালেন পুতিন
ছবি : রয়টার্স

ইউক্রেনে দুই মাসের কাছাকাছি রুশ সামরিক বাহিনীর অভিযান চলছে। নানা সময় নানা কথা জানা গেছে। তবে এবার অভিযানের বিষয়ে সরাসরি জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া অভিযানের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে সেটাও স্পষ্ট করেছেন তিনি।

যুদ্ধের দুই মাসের মাথায় পুতিন জানালেন, ইউক্রেনে অভিযান পরিচালনা ‘অনিবার্য’ হয়ে পড়েছিল। রুশ বাহিনীর  এই অভিযান ইউক্রেনে ‘উচ্চ’ লক্ষ্য অর্জন করবে বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ইউরি গ্যাগারিনের প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশে ভ্রমণের ৬১তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুতিন এসব কথা বলেন। এই সময় পুতিনের পাশে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশিয়ান নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।

জনসাধারণের সামনে বক্তৃতায় পুতিন দাবি করেন, “ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ‘অনিবার্য’ হয়ে পড়েছিল। ইউক্রেনে রুশ ভাষী ডনবাস অঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য আগ্রাসন শুরু করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।”

যুদ্ধের কারণ উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জোর দিয়ে বলেন, “রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে নিপীড়িত জনগণকে সহায়তা করছে। একদিকে আমরা মানুষকে সাহায্য করছি এবং রক্ষা করছি। অন্যদিকে আমরা কেবল রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের কোন পছন্দ ছিল না, এটা পরিষ্কার। যুদ্ধ শুরু ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত। আমাদের লক্ষ্যগুলো পুরোপুরি পরিষ্কার, সেগুলো মহৎ।”

ক্রেমলিন দাবি করেছে, পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ান ভাষাভাষীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে এমন কোন প্রমাণ নেই যেটি তারা বলে।

বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞায় রুশ অর্থনীতিতে ধাক্কা লেগেছে।

পুতিন দাবি করেন, “রাশিয়া বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে না। আধুনিক বিশ্বে কাউকে গুরুতরভাবে বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব। বিশেষ করে রাশিয়ার মতো বিশাল দেশ।”

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া গভীরতম মন্দার দিকে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য সরকার এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে রাশিয়ার জিডিপি এই বছর ৮ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে সংকুচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এক কোটি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

Link copied!