প্যানিক অ্যাটাক ও হার্ট অ্যাটাক দুটোই যে কারো হতে পারে। এ কারণে এই দুটো বিষয় সম্পর্কে সবারই সতর্ক ও সঠিক তথ্য জেনে রাখা জরুরি। উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ লক্ষণ হিসেবে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘাম ও ভয়ের অনুভূতি প্রকাশ পায়। তবে আরও কিছু লক্ষণ আছে যেটি হার্ট অ্যাটাক ও প্যানিক অ্যাটাকের মধ্যকার পার্থক্য ধরতে পারবেন।
এনএইচএস ইউকের ড. আমির খান বলেছেন, ‘এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো যে কোনো সময় প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে, এমনকি আপনি যখন বিশ্রাম নিচ্ছেন বা ঘুমাচ্ছেন তখনো।’
‘এর লক্ষণ হিসেবে বুকে এমনকি শরীরের বিভিন্ন স্থানে, হাতের নিচে, চোয়াল বা ঘাড়ের অংশে ব্যথা ছড়াতে পারে। প্যানিক অ্যাটাকের ব্যথা শেষ পর্যন্ত কমে যায়, তবে হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা আরও বাড়তে থাকে।’
ডা. আমির জানান, আপনি যদি নির্ধারণ করতে না পারেন যে হার্ট অ্যাটাক বা প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে, তাহলে চিকিৎসার সাহায্য নিতে হবে দ্রুত।
তার মতে, প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। এতে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে। আর হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে, অবিলম্বে একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করুন। জরুরি সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করার সময় একটি অ্যাসপিরিন চিবিয়ে গিলে ফেলুন।
অ্যাসপিরিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের সময় দ্রুত অ্যাসপিরিনি খেলে হার্টের ক্ষতি কমতে পারে। যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে বা অন্য কোনো কারণে অ্যাসপিরিন গ্রহণে ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা থাকলে অ্যাসপিরিন গ্রহণ করবেন না।