যেকোনো বয়সে ব্রেন টিউমার হতে পারে। টিউমার হচ্ছে শরীরের যেকোনো জায়গায় বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এই টিউমার মস্তিষ্কের ভেতরে হলে সেটাকে আমরা ব্রেন টিউমার বলি। এটি দুই রকমের হতে পারে। নিরীহ টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ ধরনের টিউমার।
কিছু ব্রেন টিউমার মস্তিষ্ক থেকে উৎপত্তি, এগুলো হলো প্রাইমারি ব্রেন টিউমার। আবার কিছু ক্ষেত্রে শরীরের অন্য কোনো স্থানের টিউমার থেকে ছড়িয়ে ব্রেনে আসে। এটাকে সেকেন্ডারি বা মেটাস্টাটিক ব্রেন টিউমার বলা হয়।
লক্ষণ
ব্রেন টিউমারের প্রধান লক্ষণ হলো মাথাব্যথা। পাশাপাশি রোগীর বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই কমে যাওয়াকে টিউমারের লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়। এছাড়া অনেক সময় খিঁচুনি হতে পারে অথবা শরীরের যেকোনো এক দিকের হাত বা পা দুর্বল বা অবশ হয়ে যেতে পারে। আবার তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।
করণীয়
ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে যথাসম্ভব দ্রুত নিউরোমেডিসিন বা নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ নির্ণয়ে এসব পরীক্ষা সহায়ক। ব্রেনের সিটি স্ক্যান ও এমআরআই, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা দেখার জন্য ইলেকট্রোএনকেফালোগ্রাফি বা ইইজি, স্নায়ুতন্ত্রের পরিবহনক্ষমতা বা নার্ভ কন্ডাকশন টেস্ট বা ইলেকট্রোমায়োগ্রাফি। তবে এমআরআই পদ্ধতি সবচেয়ে আধুনিক ও ব্রেন টিউমার নির্ণয়ের জন্য উন্নত পরীক্ষা।
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল। চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, তীব্রতা, আকার ও অবস্থানের ওপর। সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি এর মূল চিকিৎসা। লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন খিঁচুনি বন্ধ করার ও বমির ওষুধ ইত্যাদি। ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুলও।
সাধারণভাবে প্রশ্ন আসে, বাংলাদেশে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসাব্যবস্থাটা কেমন? দেশের বড় শহরগুলোয় যেসব হাসপাতাল আছে, সেখানে সফলভাবে এর চিকিৎসা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে যেকোনো ধরনের ব্রেন টিউমারের অস্ত্রোপচার করা সম্ভব। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে অনেক কম খরচে এ রোগের চিকিৎসা করা যায়।
সূত্র:
প্রথম আলো