বসার সঠিক নিয়ম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম
বসার সঠিক নিয়ম

আমাদের মেরুদণ্ডকে স্বাভাবিক অবস্থায় একপাশ থেকে দেখলে কিছুটা ইংরেজি "এস" অক্ষরের মতো দেখায় । ঘাড়ের অংশ সামনের দিকে, পিঠের অংশ পেছনের দিকে, কোমরের অংশ সামনের দিকে এবং নিতম্বের অংশ পেছনের দিকে বাঁকা। এটি মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা। 

আমরা যদি সঠিকভাবে বসার নিয়ম আয়ত্ত না করি, তাহলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুঁজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যাবে। এসব সমস্যায় যেন না পড়তে হয় তাই বসার সময় সঠিক নিয়ম মেনে বসতে হবে।

আমাদের মেরুদণ্ডকে স্বাভাবিক অবস্থায় একপাশ থেকে দেখলে কিছুটা ইংরেজি "এস" অক্ষরের মতো দেখায় । ঘাড়ের অংশ সামনের দিকে, পিঠের অংশ পেছনের দিকে, কোমরের অংশ সামনের দিকে এবং নিতম্বের অংশ পেছনের দিকে বাঁকা। 

এটা মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা। আমরা যদি সঠিকভাবে বসার নিয়ম আয়ত্ত না করি, তাহলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুঁজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যাবে। এসব সমস্যায় যেন না পড়তে হয় তাই বসার সময় আমাদের নিয়ম মেনে বসতে হবে। চলুন জেনে নিই বসার সঠিক নিয়ম-

বসার নিয়ম
চেয়ারে সোজাভাবে বসুন। ঘাড় বা পিঠ বাঁকিয়ে বসবেন না। পিঠের নিচের অংশ ও চেয়ারের মধ্যে কোনো ফাঁকা রেখে বসা যাবে না। কম্পিউটার বা খাতা-কলমের কাজ যেটিই করুন না কেন, কাজের জিনিসগুলো রাখতে হবে সুবিধাজনক দূরত্বে। চেয়ার ও টেবিলের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব রাখা যাবে না। হাত ঝুলিয়ে কাজ করবেন না। লেখার সময় এবং কিবোর্ড বা মাউসের কাজ করার সময় হাতের আঙুল থেকে কনুই পর্যন্ত পুরো অংশটাই যেন টেবিলের ওপর থাকে। পা দুটি আরামদায়কভাবে মেঝেতে রাখুন। ঊরু থাকবে মেঝের সমান্তরাল। শরীরের কোনো অংশই দোদুল্যমান বা আনসাপোর্টেড অবস্থায় রাখা যাবে না। পর্যাপ্ত সাপোর্ট রেখে কাজ করতে হবে। সঠিক ভঙ্গিতে বসলে পিঠ বা কোমরে যেমন ব্যথা হবে না, তেমনি ঘাড়ব্যথা থেকেও মুক্ত থাকবেন।

চোখের উচ্চতা
কম্পিউটারের মনিটরের ওপরের এক-তৃতীয়াংশ চোখের দৃষ্টিসীমার একটু ওপরে হওয়া উচিত। ওপরে বা নিচে তাকাতে হলে মনিটরের উচ্চতা ঠিক করে নিতে হবে। এতে চোখের ওপর চাপ কমবে। পাশাপাশি সামনে দিকে ঝুঁকে বসার প্রবণতা কমবে।

আরাম করে বসা
অবস্থান ঠিক রাখার জন্য অনেকেই শক্ত হয়ে বসেন। তবে বসা অবস্থায় কাঁধ ও পিঠ ঢিল করে বসতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে হাতের কবজি যাতে টেবিলের ওপর আরামদায়কভাবে থাকে। এতে বা হাতের কবজিতে থাকা নালিগুলো বন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি মিলবে। পায়ের পাতা বাঁকা করে না রেখে মেঝেতে সমান করে রাখতে হবে।

হাঁটাহাঁটি করা
মাঝেমধ্যে চেয়ার ছেড়ে একটু হাঁটাহাঁটি এবং শরীর টানটান করে নিতে ভুলবেন না। দাঁড়িয়ে দুই হাত পেছনে কোমরের ওপরের অংশে নিয়ে সামনের দিয়ে ঠেলে নিয়ে শরীর টান টান করতে পারেন। এরপর বসে মাথা পেছনের দিকে এলিয়ে দিয়ে গোলাকারে ঘোরাতে হবে।

Link copied!