• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

যাদের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া যাবে না


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম
যাদের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া যাবে না

জীবন রক্ষার জন্য মানুষ রক্তদান করেন। কিন্তু জেনে রাখা উচিত রক্ত পরিসঞ্চালন কখনো কখনো জটিলতা তৈরি করতে পারে। নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন রক্ত গ্রহীতার জন্য যেমন প্রয়োজন, আবার রক্তদাতার জন্যও প্রযোজ্য।

এ বিষয়ে ডা. মোজাহিদুল হক বলেন রক্তের মাধ্যমে অনেক ধরনের রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে যেতে পারে। সেজন্য রক্ত নেওয়ার আগে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হয়। যেমন- এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা, জন্ডিস, পালস রেট, রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা, ওজন, হিমোগ্লোবিন টেস্ট, ব্লাড সুগার বা চিনির মাত্রা পরিমাপ করা, ইসিজি এসব পরীক্ষাগুলো খুব সাধারণ।

যারা রক্ত দেয় তাদের অবশ্যই দেখতে হবে, যে রক্ত নিচ্ছে, তার জন্য রক্ত গ্রহণ অপরিহার্য কিনা। কারণ অনেকে রক্ত গ্রহণ করাটাকে একটা ব্যবসাতে পরিণত করেছে। আর রক্ত নিলে সাধারণত একটা লাভ। যে উপাদানটি কম আছে, সেটা বৃদ্ধি পায়। যেমন যার হিমোগ্লোবিন কম, তার হিমোগ্লোবিন বাড়ে। কারো রক্তের সাদা অংশ থেকে প্লাটিলেট দিতে হয়, সেটা বাড়ে।

বিশেষজ্ঞ বলেন, রক্তবাহিত রোগের সংক্রমণ একটি প্রধান সমস্যা। হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু সহজেই রক্তের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতার দেহে প্রবেশ করতে পারে।

এই পরিস্থিতির মূল কারণ রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে রক্তটি জীবাণুমুক্ত কিনা, তা যথাযথভাবে পরীক্ষা না করা। অনুমোদনহীন এসব রক্ত বিক্রি করা হয়। আর তা আসে মূলত নেশাগ্রস্ত পেশাদার রক্তদানকারীদের থেকে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বা ভেজাল রক্তও বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক থেকেই আসে।

অনেক সময়, যাদের কিছুদিন পরপর রক্ত নিতে হয়, তাদের দেহে লৌহের আধিক্যসহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অধিক রক্ত দ্রুত প্রবেশ করলে বৃদ্ধ অথবা হৃদরোগীর হার্ট ফেইলিউর জাতীয় সমস্যা হতে পারে।

যাদের রক্ত নেওয়া যাবে না

  • হেপাটাইটিস বি’ এবং সি’ রোগে যারা ভুগছেন
  • হিমেফেলিয়াতে যারা ভুগছেন
  • ক্যানসারের রোগী
  • যারা মাদক গ্রহণ করেন
  • মানসিক ভারসাম্যহীন
  • যাদের অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট আছে
  • যাদের এইচআইভি পজিটিভ 
  • যাদের ওজন গত ২ মাসে ৪ কেজি কমে গেছে
  • ৬ মাসের মধ্যে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন 
  • ৬ মাসের মধ্যে অপারেশন হয়েছে 

এছাড়াও লিভারের রোগী, যক্ষ্মার রোগী, লেপ্রসি, মৃগী রোগী, পলিসাইথেমিয়া ভেরা প্রভৃতি রোগ থাকলে তাদের রক্ত নেয়া যাবে না। নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন সময়ে, গর্ভবতী অবস্থায় ও সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ১ বছর পর পর্যন্ত রক্তদান করা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

Link copied!