শরীরের বাইরের ক্ষতিকর কোনো বস্তুর বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বকে অস্বস্তি হয়। এতে অনেকেরই গা চুলকায়।
অন্যদিকে বর্ষাকালে বাতাসে নানা রকম ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। সেখান থেকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে। আবার, গরমে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম জমলেও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এর বাইরেও কখনও কখনও শরীরে চুলকানি হয়। এটি কেন হয় সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা।
সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা যায়, এই সমস্যার মূলে রয়েছে স্টেফিলোকক্কাস অরেয়াস নামক একটি ব্যাক্টেরিয়াম।
গবেষকরা বলছেন, শুধু অ্যালার্জি হলেই যে ত্বকে অস্বস্তি হবে, এমন নয়। যাদের ত্বকে এটোপিক ডার্মাটাইটিস বা এগজিমার সমস্যা রয়েছে, তাদের শরীরে বিশেষ একটি ব্যাক্টেরিয়ার অস্তিত্ব দেখা যায়।
গবেষণায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকটি ইঁদুরের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল। এতে স্টেফিলোকক্কাস অরেয়াস নামক ব্যাক্টেরিয়াটি শরীরে ভি৮ প্রোটিনকে সক্রিয় করে তোলে। যা মস্তিষ্কে ক্রমাগত ত্বকের স্পর্শকাতরতা বিষয়ক সংকেত পাঠাতে থাকে। রক্ত জমাট বাঁধতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই প্রোটিন।
তাই ইঁদুরগুলোকে খাবারের সঙ্গে রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাইয়ে বেশ কিছু দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, সেই ওষুধটি রীতিমতো কাজ করছে। এতে বোঝা যায় শরীরে কোনোরকম অ্যালার্জি না থাকলেও ব্যাক্টেরিয়াটির প্রভাবে অনেকসময় শরীরে চুলকানি হতে পারে।