চা বা কফি খেলে তেমন কোনো সমস্যা তৈরি হয় না। তবে অতিরিক্ত না হলেই হলো। কিন্তু সমস্যা হলো চিনি নিয়ে। মেডিক্যাল হাইপোথিসিস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, চিনি শুধু ওজন কিংবা পেটের মেদই নয়, ডেকে আনে বিষণ্ণতাকেও। ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাসের গবেষকেরা চিনি গ্রহণের পরে মানুষের শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন হয়। এছাড়াও বাড়তি চিনি খেলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। তাই আমরা অনেকেই ছাড়তে চাই চায়ের বাড়তি চিনি। এনএইচএস ও হেলথ ডটকম কীভাবে চা থেকে চিনি বাদ দেওয়া যায় সেটির কিছু টিপস দিয়েছে। চলুন জেনে নিই-
- প্রথমে আপনাকে মন স্থির করতে হবে যে চায়ে বাড়তি চিনি খাবেন না। হঠাৎ করে কোনোকিছু করে ফেলা যেমন সম্ভব নয়। এটিও তাই। সুতরাং এটা আপনাকে ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে অভ্যাস করতে হবে।
- আপনি যদি চিনি ছাড়া চা খেতে অভ্যস্ত হতে চান তাহলে আগে চা খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। আগে দিনে দুই কাপ চা খাওয়া আয়ত্তে আনুন। সেটা হতে পারে সকালের নাশতার পর আর বিকেলের নাশতায়।
- আগে আপনি এই দুই কাপ চায়ের পরিমাণ চিনি নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হোন। আগে যদি এক কাপ চায়ে ২ চামচ চিনি খেয়ে থাকেন, এখন থেকে সেটি এক চামচে নিয়ে আসুন। একবার যদি এক কাপ চায়ে এক চামচ চিনিতে অভ্যস্ত হয়ে যান তাহলে দেখবেন বেশি চিনি দিলে আর সেই চা খেতে পারছেন না।
- এবার চিনির বদলে সামান্য গুড় বা মধু দিয়ে চা খান। গুড় বা মধু তুলনামূলকভাবে প্রাকৃতিক, সাদা চিনির মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই এগুলোতে।
- চায়ে লেবু, মাল্টা, আদা, কালো গোলমরিচ বা লবঙ্গ ব্যবহার করুন। একাধিক উপাদানও ব্যবহার করতে পারেন। এসবের ঘ্রাণ আর স্বাদের জন্য চিনি ছাড়া চা খেতে আপনার সুবিধা হবে।
- তুলসী চা, পুদিনা চা, বিভিন্ন হারবাল চা, গ্রিন টি এগুলোও খেতে পারেন মাঝেমধ্যে।
- দুধ চায়ে চিনি ছাড়া তুলনামূলকভাবে সহজ। কেননা, দুধে প্রাকৃতিকভাবেই চিনি থাকে। এক কাপ দুধে ১২ গ্রাম চিনি থাকে। ফলে চায়ের তেতো ভাবটা তেমন একটা থাকে না।