• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতে নবজাতকের যত্ন নেবেন যেভাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম
শীতে নবজাতকের যত্ন নেবেন যেভাবে

শীতের সময় নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে হয় খুব সতর্কভাবে। কারণ ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব তো রয়েছেই তার ওপর ঠান্ডার এই সময় মানুষ বিভিন্ন রকম রোগে আক্রান্ত হয়। সর্দি-কাশি, জ্বর-ঠাণ্ডা, গলাব্যথা এসব থেকে নবজাতককেই সবার আগে দূরে রাখতে হবে। কারণ নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই শীতকালে নবজাতকের বিশেষ যত্ন নেয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এসময় নবজাতকের যত্ন কীভাবে নেবেন-

গোসল দিন
শীতের সময় যদি রোদ থাকে তাহলে শিশুকে হালকা গরম পানিতে গোসল করাতে পারেন। তবে অন্যান্য দিনে কেবল একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে কাপড় পরিবর্তন করার আগে শরীর মুছে দিন। এটি অসুস্থতার ঝুঁকি কমাবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে।

তেল মালিশ
শীতকালের শীতল এবং শুষ্ক বাতাস বাচ্চাদের ত্বকের সমস্ত আর্দ্রতা শুষে নেয়। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে তাই দিনে কমপক্ষে ২ বার তেল ম্যাসাজ করুন। তেল শরীরের গভীরতম টিস্যুগুলোতে শোষিত হয় ফলে ময়েশ্চারাইজ থাকে। অয়েলিং শিশুর হাড়কেও শক্তিশালী করে তোলে। ম্যাসাজ করার জন্য হালকা গরম সরিষা বা নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

গায়ে রোদ লাগান
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস। শক্তিশালী হাড় এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে সূর্যের আলোতে। জামাকাপড় পরিবর্তন বা আপনার বাচ্চাকে গোসল করানোর পরে তার শরীরে রোদ লাগান। সূর্যের আলো জীবাণু ধ্বংস করে শিশুর শরীরে উষ্ণতা সরবরাহ করে।

কয়েক স্তরবিশিষ্ঠ পোশাক পড়ান
নবজাতকে কয়েক স্তরে পোশাক পড়িয়ে রাখুন। এটি তাপমাত্রার পরিবর্তন অনুসারে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করবে। লম্বা হাতা শার্ট এবং তারপরে জ্যাকেট, ক্যাপ যুক্ত করতে পারেন। বাচ্চাদের জন্য সবসময় নরম পোশাক কিনুন এবং কখনও তাদের মাথা ঢেকে রাখতে ভুলবেন না।

ভারী কম্বল এড়িয়ে চলুন
শীতের সময় বাচ্চাকে ভারী কম্বলে ঢেকে রাখা যথাযথ বলে মনে হতে পারে তবে সেটি সঠিক নয়। ভারী কম্বল তাদের উষ্ণ রাখবে তবে এগুলো অস্বস্তিকরও হতে পারে তার জন্য। কারণ এতে শিশুরা তাদের হাত এবং পা নড়াচড়াতে অসুবিধার মুখোমুখি হবে। হালকা কম্বল ব্যবহার এবং ঘরের তাপমাত্রাকে সর্বোত্তম রাখা উচিত।

টিকা দেওয়া
শীতকালীন রোগগুলো থেকে নবজাতকের সুরক্ষা দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম উপায় হলো টিকা দেওয়া। সঠিক সময়ে টিকা দিন। এছাড়াও যদি আপনি অসুস্থ হন, তবে শিশু থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। 

Link copied!