• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভেষজ খাবারে ভালো রাখুন হার্ট


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০২:২৪ পিএম
ভেষজ খাবারে ভালো রাখুন হার্ট

খাদ্যাভ্যাসে মাত্র কয়েকটি পরিবর্তন এনে হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। হার্টের অসুখ এমনই একটি বিষয় যে বাইরে থেকে আগেভাগে বোঝা যায় না। তাই আগে থেকে প্রতিরোধ করতে পারলে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। চলুন জেনে নিই খাদ্য তালিকায় কী কী যোগ করবেন হার্টের সুস্থতার জন্য।

মাশরুম
মাশরুমে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুবই অল্প এবং কোলেস্টেরল ভাঙার উপাদান-লোভস্ট্রাটিন, অ্যান্টাডেনিন, ইরিটাডেনিন ও নায়াসিন থাকায় শরীরের কোলেস্টেরল জমতে পারে না বরং মাশরুম খেলে শরীরে বহু দিনের জমানো কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে বিনষ্ট হয়ে যায়। তাই হার্টের রোগীর জন্য মাশরুম খাওয়া খুবই উপকারী।

ছোলা
ছোলা কার্ডিওভাসকুলার পুষ্টিগুণ সম্পর্ণ শস্য। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাসিয়াম রয়েছে। শুধু তাই নয় ছোলা কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।

কফি
কফি আমাদের হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কফি করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্ট ফেইলিওর এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

ডুমুর
ডুমুর হার্ট সুরক্ষিত করার জন্য পুষ্টির অন্যতম সেরা উৎস। এই ফলটি ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারযুক্ত যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ফ্ল্যাক্স বীজ
যারা মাছ বা বাদাম খাওয়া পছন্দ করেন না তবে এখনও ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন তাদের ফ্ল্যাক্স বীজ খাওয়া উচিত। এই বীজগুলো সাধারণত টপিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইস্ট্রোজেন এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে যা হার্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

লাল মরিচ
লাল মরিচে ক্যাপসাইসিন থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। হার্টের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একটি করে লাল মরিচ রাখতে পারেন।

আদা
গন্ধযুক্ত এই মশলাটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত আদা খান।

জাম্বুরা
জাম্বুরা কোলিন, ফাইবার, লাইকোপিন এবং পটাসিয়ামযুক্ত। এই সমস্ত উপাদানগুলো হার্ট ভালো রাখার দুর্দান্ত উপায়। উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করার জন্য এটি অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান।

গ্রীন টি
গ্রিন টি একটি সতেজ পানীয় হিসাবে পরিচিত। গ্রীন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ধমনী ফলক তৈরি রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও গ্রিন টি এলএল, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়।

কিডনি বিনস
কিডনি বিন ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনযুক্ত। কিডনি বিনে ফ্যাটও কম তবে ফাইবার বেশি। কিডনি বিন, মটরশুটি হোমোস্টিনের স্তর হ্রাস করতে এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

ওটস
​ওটস এখন অতি পরিচিত এটি খাবার। এই খাবার ওজন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ওটস খেলে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে। তাই এ খাবার খেতে বলা হয়। খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে গ্রহণ করতে বাধা দেয় এ খাবার। তাই হার্টের রোগ অনেকটাই দূরে থাকে।

সবুজ শাক
অনেকেই শাক খেতে ভালোবাসেন। শাকপাতা বহু গুণে সমৃদ্ধ। খনিজ, ভিটামিনে ভরপুর। তাই রোগ প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী এ খাবার। এছাড়া সবুজ শাকপাতা বাইল অ্যাসিডকে বাইন্ড করে। আর শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলকে ঠেলে বের করে দেয়। পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল বাড়ানোর কাজেও এই খাদ্যগুলো সিদ্ধহস্ত। তাই আপনাকে খাবারের তালিকায় সবুজশাক রাখতে হবে। তবেই হার্টের অসুখ থাকবে দূরে।

আপেল
আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর সুস্থ রাখার কাজে ভীষণই কার্যকরী। এছাড়া এতে আছে ফাইবার। এই ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে এইচডিএল বাড়ায়। তাই হার্টের রোগীদের আপেল খাওয়া জরুরি।

আমন্ড ও ওয়ালনাট
আমন্ড ও ওয়ালনাট এই দুই বাদামজাতীয় খাবার কিন্তু শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে পারে খুব সহজে। দেখা গেছে এই বাদাম খেলে হার্টের অসুখও কাছে আসে না। তাই এই খাবার নিয়মিত খান। 

Link copied!