• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

লাল মুলা খাওয়ার উপকারিতা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৯:০৪ এএম
লাল মুলা খাওয়ার উপকারিতা
লাল মুলা সালাদে খেতে বেশ সুস্বাদু । ছবি : সংগৃহীত

শীতকালের সবজি মুলা। অনেকে কাছেই এটি খুব পছন্দের একটি সবজি। মুলা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমাদের দেশে দুই ধরণের মুলা পাওয়া যায়। সাদা আর লাল মুলা। সাদা মুলার প্রতিই আকর্ষণ বেশি থাকতে দেখা যায়। কিন্তু লাল মুলাতেও পুষ্টিগুণ কম নয়। এর উপকারিতা অনেক। লাল মুলা খাদ্য উপাদানে ভরপুর। 

এতে থাকা ক্যাটিচিন, পাইরোগালল, ভ্যানিলিক অ্যাসিড এবং অন্য ফেনোলিক যৌগ অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। এই মুলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা আপনার কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। 

লাল মুলায় কার্বোহাইড্রেট খুব কম থাকে, অনেকের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত পছন্দ হতে পারে। কম ক্যালোরি এবং কম গ্লাইসেমিক সূচক থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। 

ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজের সঙ্গে উচ্চ ফাইবার ও সোডিয়াম আছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক দেশে মুলা দিয়ে প্রাকৃতিক চিনি উৎপাদন করা হয়। লাল মুলার কিছু উপকারিতা জেনে নিন-

বৃহদান্ত্রের পরিষ্কার করে 
বৃহদান্ত্র থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত পরিষ্কারের বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে যারা পাইলস, অ্যানালফিশার, ফিস্টুলা, কোলাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত, তারা নিয়মিত লাল মুলা খেলে উপকার পাবেন। এটি অন্ত্রে চেপে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া উচ্ছেদ করে দেয়।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
লাল মুলায় গ্লুকোসিনোলেট ও আইসোথিওসায়ানেটের মতো রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া মুলা শরীরের প্রাকৃতিক অ্যাডিপোনেক্টিন উৎপাদন বাড়ায়। এই হরমোন ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে। 

মুলায় রয়েছে কো–এনজাইম। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ডায়াবেটিস হতে দেয় না। লাল মুলার গ্লাইসোমিক ইনডেক্স কম, ফলে পেটে পাচনক্রিয়া ধীরে ধীরে হওয়ার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

লিভার ঠিক রাখতে
লাল মুলা অন্য যৌগগুলোর সঙ্গে ইনডোল৩, কারবিনল৪, মিথাইলথিও৩ বুটেনাইল আইসোথিওসায়ানেট থাকে, যা লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে এবং ক্ষতির নিরাময় করতে সহায়তা করে। যারা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত, তারা লাল মুলা খেতে পারেন। এ ছাড়া এসব যৌগ কিডনি থেকে টক্সিন বের করে দিতেও সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়
লাল মুলা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক নাইট্রেটের একটি ভালো উৎস হওয়ায় রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। নাইট্রেট শিরাকে প্রসারিত করে রক্ত প্রবাহে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে দেয়।

থাইরয়েড হরমোনে ভারসাম্য
কার্বোহাইড্রেট বা ক্যালোরি ছাড়াই ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ। আপনার আয়োডিনের ঘাটতি থাকলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মুলা খাওয়া আপনার থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে ভারসাম্য আনতে সহায়তা করে।


লাল মুলা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। তরকারি, ভাজি, রান্না, স্যুপ যেভাবে ইচ্ছা, তবে সালাদের সঙ্গে খেলে সবচেয়ে ভালো।

Link copied!