উৎসব মানেই মিষ্টিমুখ। উৎসবে বাঙালিদের মিষ্টিমুখ হবে না তা তো মানাই যায় না। ধর্মীয় উৎসব হোক কিংবা বিয়ের উৎসব আয়োজনে তো মিষ্টি থাকবেই। তবে মিষ্টি তো সবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। বাড়ির বয়স্ক কিংবা ডায়াবেটিসের রোগীদের তো মিষ্টিতে কঠোরভাবে 'না' থাকে। তাছাড়া অত্যাধিক মিষ্টি খাওয়া সবার জন্য়ই ক্ষতিকর।
তবে মিষ্টি ছাড়া যেহেতু থাকা দায়, তাই বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু মিষ্টির খাওয়ার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য় তুলনামূলক কম ক্ষতিকর। যা খেলে মিষ্টিমুখ করা হবে, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যের সুরক্ষাও উপেক্ষিত হবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, উৎসবে মিষ্টি দোকান থেকে নয়, বরং বাড়িতে বানিয়ে খাওয়াই স্বাস্থ্যকর। কী ধরনের মিষ্টি বাড়িতে তৈরি করে খাওয়া যাবে এবং তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে না- এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের সেসব মিষ্টির কথা জানাব আজকের আয়োজনে_
- দুধ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই বাড়িতে দুধের তৈরি মিষ্টি তৈরি করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দুধ দিয়ে শ্রীখন্ড, সন্দেশ, মিষ্টি দই, ক্ষীরের মতো মিষ্টি বানানো যায়। উৎসবে এই মিষ্টিগুলো ঘরেই বানিয়ে নিন। যা শরীর সুস্থ রাখবে। তাছাড়া বাড়িতে বানিয়ে নিলে পর্যাপ্ত মিষ্টির স্বাদ পাওয়া যাবে। অতিরিক্ত মিষ্টি হবে না। মিষ্টিও সুস্বাদু হবে। স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হবে না।
- বাড়িতে মিষ্টি তৈরির সময় চিনির পরিবর্তে দারুচিনি, ড্রাই ফ্রুটস যেমন, খেজুর, কিশমিশ এবং টাটকা ফল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গুড় এবং মধু দিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। চিনির বিকল্প এসব উপাদান শরীরে তুলনামূলক কম ক্ষতি করে।
- বাদামের তৈরি মিষ্টি খান। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। উপকারী মিষ্টি হিসেবে বাদামকাটলি বানিয়ে নিন।
- বেসনের লাড্ডু, বাদামের লাড্ডু, নারকেল নাড়ু, গাজরের হালুয়া, মুগ ডালের লাড্ডু, পায়েসও বানিয়ে নিতে পারেন। এতে চিনির পরিবর্তে বিকল্প উপাদান ব্যবহার করুন।
- সরাসরি মিষ্টি না বানাতে চাইলে মিষ্টি পদ তৈরি করুন বাড়িতে। আপেলের ক্ষীর, পায়েস কিংবা আখরোটের লাড্ডু বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
- মিষ্টি পানীয়ের আয়োজনে বাজারের সফট ড্রিঙ্কস রাখবেন না। এর পরিবর্তে বাড়িতে মিল্কশেক বানিয়ে নিন। তাতে মিষ্টির পরিমাণও কম-বেশি করে নিতে পারেন।
সূত্র: হেলথ লাইন