• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

করোনায় ডেলিভারি কখন? যা বললেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ১০:১৫ এএম
করোনায় ডেলিভারি কখন? যা বললেন

গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসবের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে করোনাকালীন সন্তান প্রসব নির্দিষ্ট সময়ের আগেই হয়ে যাচ্ছে। কোনো কিছু বুঝে উঠারও সময় হয় না। পরিবারের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

গর্ভাবস্থায় যদি এমন পরিস্থিতি হয় তবে একজন মা কীভাবে তা বুঝবেন এবং করণীয় কী হবে এই বিষয়ে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি।

ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি বলেন, ‘কোনো নারী যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের মতো মা হন, তবে তিনি জানবেন তার ডেলিভারির লক্ষণগুলো কী কী হতে পারে। কিন্তু প্রথম সন্তান প্রত্যাশী নারীর জন্য এই পরিস্থিতি বোঝা কিছুটা হলেও জটিল।‘

‘এর জন্য় ডেলিভারির আগের সময়টা কী কী লক্ষণ হতে তা আগেই গর্ভবতী নারীকে জানিয়ে রাখতে হবে। সাধারণত যা হয় পেছন থেকে ব্যথা হয়ে যদি সামনের দিকে আস্তে আস্তে আসতে থাকে। এই ব্যথা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং একটা পর্যায়ে এই ব্যথার সময়কালও বেড়ে যায়। যেমন, পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট পর্যন্ত ব্যথা থাকতো আগে এখন এটা এবার বেড়ে ২০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট স্থায়ী হচ্ছে। ব্যথাটা কমছেই না। বুঝতে হবে সময় হয়ে গেছে।‘

‘এছাড়া যদি মাসিকের রাস্তা দিয়ে কোনো পানি জাতীয় কিছু বের হয় কিংবা রক্ত দেখা যায় সেক্ষেত্রেও কিন্তু খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। করোনার সময়ও বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।‘

‘এক্ষেত্রে একজন গর্ভবতী মা ও তার পরিবার একজন নির্দিষ্ট চিকিতসকের সঙ্গে আগেই ডেলিভারি পরিকল্পনা করে রাখতে পারেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগে তার ডেলিভারি ব্যথা উঠে যেতে পারে সেটা মাথায় রেখে তিনি কোথায় কখন কোন হাসপাতালে যাবেন তা ঠিক করে নিতে পারেন।‘

‘রাত ৩টার সময় ডেলিভারি ব্যথা হলে কিংবা পানি দেখা যায় কিংবা রক্ত দেখা যায় তাহলে সে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে সেই ডাক্তারকে পাবেন কিনা তা আগেই ঠিক করে রাখতে হবে। এছাড়াও যানবাহনের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। চিকিতসকের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।‘

এক্ষেত্রে টেলি মেডিসিন বা অনলাইনে পরামর্শ নিতে পারে। এই ব্যবস্থাগুলো আগেই করে রাখলে ঝুকি এড়ানো সম্ভব।‘

করোনার সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এর তথ্য উপাত্তগুলো নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। এখনো অনেক কিছুই আমরা জানি না। তবে দেখা গেছে গর্ভবতী মায়েরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি এমন কোনো তথ্য কিন্তু এখনও কোনো গবেষণায় জানা যায়নি। তবে গর্ভাবস্থায় যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তবে তার ঝুঁকি একটু বেশি হতে পারে। তার গর্ভের শিশুর কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।‘

‘তবে দেখা গেছে ভ্যাজাইনাল ফ্লুইড কিংবা সন্তান যে পানির মধ্যে সেখানেও কিন্তু করোনা ভাইরাসের কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। কিংবা মা যখন স্তন পান করাবেন শিশুকে সেখানে কিন্তু করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রমানিত হয়নি। কাজেই মা কিন্তু নিশ্চিন্তেই স্তন পান করাতে পারবেন।‘

করোনায় স্বাভাবিক ডেলিভারি সম্ভব জানিয়ে ফরিদা ইয়াসমিন সুমি বলেন, ‘করোনা হয়েছে বলে তাকে সে সিজারিয়ান সেকশন করতে হবে এটা কিন্তু একেবারেই অমূলক। যদি স্বাভাবিক প্রসবে সম্ভাবনা থাকে তবে সে স্বাভাবিক প্রসব করাতে পারবেন। এখানে করোনা তাকে বাড়তি কোনো ঝুঁকি দিবে না।‘

Link copied!