হেরে গেলেন টলি অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর আদালতে শেষ হাসিটা হাসলেন নিখিল জৈন। ভারতের আলিপুর কোর্টে রায় এসেছে নিখিলের পক্ষে। তিনি নুসরাতের সঙ্গে অ্যানালমেন্টের (রদ) মাধ্যমে সম্পর্কে ইতি টানতে চেয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ফলে নুসরাত না চাইলেও তাদের বিয়ের স্বীকৃতি দিয়ে, সেটা আবার বিচ্ছেদ ঘটাল আদালত।
তুরস্কে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন নুসরাত-নিখিল। এরপর দেশে ফিরে একসঙ্গে কয়েক মাস থাকার পরই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই একটি বিবৃতিতে নুসরাত জানিয়েছিলেন, ভারতে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তুরস্কের বিয়ে এখানে গ্রাহ্য নয়। অতএব এই বিয়ে এখানে বৈধ নয়। তাই নিখিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ের নিবন্ধন হয়নি তাই অ্যানালমেন্ট করেই আলাদা হতে হতো তাদের। এই নিয়ম অনুযায়ী, নুসরাতকে আদালতে গিয়ে বলতে হবে, নিখিলের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না তার।
মামলা প্রসঙ্গে নিখিল বলেন, “যেদিন জানলাম নুসরাত আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চায়, সেদিনই দেওয়ানি মামলা করেছি আমি। নুসরাতের মা হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নিইনি আমি।”
২০১৯ সালের ১৯ জুন তুরস্কের বোদরুমে নিখিল জৈনের সঙ্গে রূপকথার বিয়ে সেরেছিলেন নুসরাত জাহান। দুই বছরের মাথায় তিনি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানান, নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে নয়, লিভ টুগেদার করেছেন। এর আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন নুসরাত। জানা যায়, তিনি অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে আছেন।