• ঢাকা
  • শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৯ মুহররম ১৪৪৬

তাহসানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন পর মুখ খুললেন মিথিলা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম
তাহসানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন পর মুখ খুললেন মিথিলা
তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ছবি : সংগৃহীত

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি। ২০০৬ সালে প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি হিসেবে বিয়ে করেছিলেন তারা। এরপর দীর্ঘ ১১ বছরের সংসার জীবনের ইতি ঘটে ২০১৭ সালে। তবে তাহসান-মিথিলার দাম্পত্যজীবন চলাকালে তাদের সম্পর্ককে আদর্শ হিসেবে মানতেন ভক্ত-অনুরাগীরা। এ বিষয়ে মিথিলা জানালেন, মানুষ যা দেখেছে, তা বাস্তব ছিল না।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অতিথি হয়ে তিনি এসব কথা জানান। পাশাপাশি তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ, মেয়ে আয়রা তেহরীম খানের অভিভাবকত্ব এবং একক মাতৃত্ব নিয়ে অকপটভাবে কথা বলেন তিনি।

নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে মিথিলা বলেন, “বিচ্ছেদ তো সহজ না। খুবই কঠিন। আমি তখন অনেক ছোট, সদ্য মা হয়েছি। এমন একটা সময়ে জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। আমি খুব ছোট ছিলাম। সদ্য মায়ের ভূমিকা নিয়েছি। আমার বিচার-বিবেচনা করার মতো অবস্থা ছিল না। সেই সময়ে আমি খুব কনফিউজড ছিলাম।”

অভিনেত্রী বলেন, “২০১৫ সালে আমরা সেপারেশনে গেছি, তারপর আরও দুই বছর গেছে। আমি অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি যে এটা ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক হয়ে যাবে। ২০১৭ সালে এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম যে মনে হয় সম্পর্কটা আসলেই কাজ করবে না। আমি ছিলাম তখন অনেক অল্পবয়সী এবং মা হিসেবেও তরুণী। আমি যে কোনো একটা ভালো–মন্দ বিচার করব বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসব, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ, আমার একটা এক বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব নিজের জীবনের।”

তাদের বিচ্ছেদ কেবল পারিবারিক ঘটনা হয়ে থাকেনি, বরং সামাজিকভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। মিথিলার ভাষায়, মানুষ যা দেখেছে, তা বাস্তব ছিল না। তারা আমাদের কল্পনার একটা দম্পতি হিসেবে দেখেছে। বাস্তব জীবন ছিল একেবারেই আলাদা।

বিচ্ছেদের আগে প্রায় দুই বছর সময় নিয়ে তারা সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান মিথিলা। তবে সেই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তিনি বলেন, “সব সম্পর্ক শেষ হওয়ার পেছনে একটা না, অনেকগুলো কারণ থাকে। আমি কারও প্রতি ক্ষোভ পুষে রাখি না। আমি পেছনে তাকিয়ে থাকি না।”

বিচ্ছেদের সময় মিথিলা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ছিলেন না, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছিল। এখন তিনি মনে করেন, প্রতিটি মেয়েরই উচিত আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়া, যেন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারে।

মেয়েকে কেন্দ্র করে কোনো বিভেদ তৈরি হয়নি বলেই জানান মিথিলা। বরং তারা ‘কো-প্যারেন্টিং’-এর মাধ্যমে মেয়েকে বড় করছেন। 

মিথিলা বলেন, “আয়রার বাবার সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক। সে তার বাবাকে প্রচন্ড ভালোবাসে। আমরাও তার জন্য একসঙ্গে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি।”
 

Link copied!