• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক: জয়া


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম
ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক: জয়া

শুরু হলো বসন্তের দিন। ফাগুনের আকাশে সোনাঝরা আলোর মতো আজ হৃদয়ও আপ্লুত প্রাণভরা ভালোবাসায়। বসন্তকে বরণের এই উচ্ছ্বাসে যোগ হয়েছে ভালোবাসার খুনসুটি। আজ শুধুই ভালোবাসার দিন।

বিশেষ এ দিনটি নানাভাবে উদযাপন করছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। দিনটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করছেন অনেকেই। তেমনই একজন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।  

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভালোবাসা দিবস নিয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাতে  জয়া বলেন, ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।

জয়া লেখেন, “কাল ছিল বসন্তের শুরু। আজ ভ্যালেন্টাইন। ভালোবাসার সঙ্গে রাখি বেঁধে রাখা দুটি দিন। কোনো একটি দিনেই সরবে ঘোষণা দিয়ে ভালোবাসার কথা হয়তো বড্ডই অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সব সময়েই আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটাই সংগত। তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!”

অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, “ভালোবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা—ভালোবাসাই তো সেটা দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।”

জয়া লেখেন, “আমরা যদি সত্যই ভালোবাসতে শিখি, তাহলেই পৃথিবীর বেদনার বড় ছায়াটা সরে যায়। ফুটপাতে যে বৃদ্ধাটা রাতের বেলা শীতে কাঁপছে তার জন্য ভালোবাসা; বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত যে কিশোরীটি ঘরের কোণে আত্মহত্যায় উদ্যত তার জন্য ভালোবাসা; ভূমিকম্পের তুরস্কে মা–বাবাকে হারানো যে সদ্যোজাত শিশুটি ভগ্নস্তূপ থেকে উদ্ধার পেল তার জন্য ভালোবাসা; মন্দির চূর্ণ করে দেওয়ার পর সেখানে মাথা ঠুকছেন যে পূজারি, তার জন্য ভালোবাসা। আমরা ভালোবাসি।”

 

 

Link copied!