একই রক্ত শরীর জুড়ে বয়। একই মানুষ জাত। এরপরও কত ভেদ। হানাহানি জাত-পাত-ধর্ম-শ্রেণি কত কিছু নিয়ে। এই যখন দশা। তখন বাঙালি হিসেবে একজন লালন ফকিরের স্মরণ গুরুত্বপূর্ণ। একটু হলেও সাম্যের বোধ ফিরিয়ে আনে যাঁর সংগীত আর জীবন স্মৃতি।
লালনের জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দোলপূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধুসঙ্গ উৎসব হতো। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পয়লা কার্তিক তাঁর প্রয়াণের পরও এমন আয়োজন বজায় রাখেন লালন অনুসারীরা।
বরাবরের মতো এ বছরও কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে চৈত্রের দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে ‘লালন স্মরণ উৎসব’ শুরু হয়েছে গত শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায়। এর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহাবুব উল আলম হানিফ।
লালন স্মরণে এই উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা গেছে। বাউলরা সমাবেত হয়েছেন দলে দলে। আখড়াবাড়ি এখন লালন সংগীতময়। ছেঁউড়িয়া ঘেঁষা কালী নদীর পাড়ে বসেছে গ্রামীণ মেলা। গত কয়েক বছরের করোনা সংক্রমণজনিত ভীতি এবার নেই। লাখো মানুষও তাই বিপুল উদ্যোমে আসছেন উৎসবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ বছর শবে বরাতের কারণে দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।
লালন উৎসব শেষ হবে সোমবার (৬ মার্চ) রাতে। ভক্তরা ফিরে যাবেন যার যার ঘরে। অপেক্ষা চলবে আগামী বছরের জন্য। আবার জমবে মেলা তখন।
আপনার মতামত লিখুন :