প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, “দেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত পরিসরে আগের মতো শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। গত বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর পর যেভাবে চলেছে, সেভাবেই সীমিত পরিসরে ক্লাস চলবে।”
বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ফ্রেন্ডশিপ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ অতিমারীকালীন শিখন ঘাটতি; চরাঞ্চলে ফ্রেন্ডশিপ শিক্ষা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “করোনাকালীন শিখন ঘাটতি দূর করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কোর্ট ইয়ার্ড সেশন, ফোনকল এবং হোম ভিজিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রেখেছে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভশিন ও বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত পাঠসূচিকে অনুসরণ করে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়েছে। সর্বোপরি শিখন ঘাটতি দূর করার জন্য ‘এক্সিলারেটেড রেমিডিয়াল লার্নিং প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
মো. জাকির হোসেন বলেন, “বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া শেখ হাসিনার সরকারের অনন্য কৃতিত্ব। বিনামূল্যে সম্পূর্ণ রঙিণ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত। স্বাধীনতা অর্জনের পর হতে এ পর্যন্ত শিক্ষাখাত বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। ১৯৭১ সাল স্বাক্ষরতার হার যেখানে ছিল ১৭.৬ শতাংশ সেটি বর্তমানে ৭৫.৬০ শতাংশে, ৪ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী প্রায় ২ লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করছে।”
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিটিউটের শিক্ষক প্রফেসর আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান। সেমিনারে তৃণমূল পর্যায়ের ভিডিওচিত্র ও গবেষণা পত্র উপস্থাপন করা হয়।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করে মাধ্যমিক থেকে পরবর্তী স্তরে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। তবে ১২ বছরের নিচে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা না যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধিতে জোর দিয়ে স্কুল খোলা রাখছে সরকার।
