• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ইবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই দফায় মারামারি


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম
ইবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই দফায় মারামারি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শরীফুজ্জামান শোভন নামের এক শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগকারী বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শাখার উপরেজিস্ট্রার গোলাম মওলার ছেলে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তরা হলেন ইংরেজি বিভাগের মাসুদ রানা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সজিব আহমেদ ও বাংলা বিভাগের তাওহিদ তালুকদার। তারা সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

লিখিত অভিযোগে শরীফুজ্জামান শোভন বলেন, “রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় ডায়না চত্বরে যাই। ঠিক সেই সময় ইংরেজি বিভাগের মাসুদ, এইচআরএম বিভাগের সজিব ও বাংলা বিভাগের তৌহিদসহ ১০-১২ জন আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ঘড়ি, মানিব্যাগ ও চশমা কেড়ে নিয়ে আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন করে। এমনকি পরবর্তীতে আমাকে ক্যাম্পাসে দেখলে তারা মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।”

শোভন বলেন, “গত ২৫ মে আমার ক্লাসমেট ওলিউর রহমানের সঙ্গে ব্যক্তিগত কার্যকালাপ ও মতের অমিলের কারণে ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে ওলি ক্ষুব্ধ হয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের মাসুদ রানাসহ তার হলের বেশ কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আমাকে মারার জন্য আসে ৷ কিন্তু আমি ও আমার বন্ধু সাকিব তাদেরকে প্রতিহত করি। পরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু আজ মাসুদ আমাকে একা পেয়ে তার বন্ধু তাওহিদ ও সজিবসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে মারধর করে। এতে আমি গুরুতর আহত হয়ে মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক ওয়াহিদুল হাসান বলেন, “শোভন মাথায় প্রচুর আঘাত পেয়েছে। বড় কোনো সমস্যা হয়েছে কি না জানার জন্য সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছি।”

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুদ রানা ও তাওহীদ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত সজিব আহমেদ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “ওই সময় আমি হলে ছিলাম। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসারের কাছ থেকে শুনেছি, যে এর আগেও তাদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে এবং বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মিটমাট করা হয়েছিল। যেহেতু ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে তাই সোমবার (১০ জুলাই) ছাত্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে একটি কমিটি গঠন করে দ্রুতই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!