• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নতুনদের যে বার্তা দিলো পাস করা শিক্ষার্থীরা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩, ১০:০০ পিএম
নতুনদের যে বার্তা দিলো পাস করা শিক্ষার্থীরা

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার (২৮ জুলাই)। এদিন দুপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, এক ঝাঁক শিক্ষার্থী উল্লাসে মেতে উঠেছেন। চারদিকে মুখরিত ড্রামের সুর। আর ক্ষণে ক্ষণে শিক্ষার্থীদের আনন্দের স্বরে চিৎকার। দেখে মনে হতেই পারে, ‘তাদের উল্লাসে যেন নেচে উঠছে বিদ্যালয়।’

এমন উল্লাসের মাঝে কথা হয় আজিজা আফরিন সুপর্ণার সঙ্গে। নতুনদের জন্য বার্তা আর মনের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে সুপর্ণা বলেন, “আমি প্রথম আমার বাবা-মা এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমার শিক্ষক থেকে শুরু করে সহপাঠীরা আমার জন্য অনেক করেছেন। আমার আজকের খুশি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। দীর্ঘ স্কুলজীবন কাটিয়ে এবার কলেজে যাব। আমার পরিশ্রম আজকে সার্থক হয়েছে। আমি মনে করি, পরিশ্রম, মনোযোগ আর অধ্যবসায় দিয়ে ঠিকমতো পড়লেই ভালো রেজাল্ট (ফলাফল) করা সম্ভব। নতুন যারা আসছে তাদের জন্য অবশ্যই শুভকামনা।”

ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই সুপর্ণার মতো উত্তীর্ণ লাখো শিক্ষার্থীরা উল্লাসে মেতে উঠেছে। তাদের কেউ প্রত্যাশিত ফলাফলে খুশি। আবার কেউ খুশি কলেজে গণ্ডিতে পা রাখবে বলে। এ যেন ভাষাহীন অনুভূতি।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ হাজার ৯৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ জন।

শ্রীময়ী নামে জিপিএ-৫ পাওয়া এক শিক্ষার্থী বলে, “এবার নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যাওয়ার পালা। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। তারপরে অ্যাডমিশন টেস্ট। আমার ইচ্ছে আছে ডাক্তার হওয়ার। আমি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছি। পড়ালেখা বিষয়টি সম্পূর্ণ নিজের। ভালোবেসে পড়তে হবে অবশ্যই। কোনো রকমের প্রেশার অনুভব করা যাবে না। যদি আনন্দের সঙ্গে পড়া যায়। তবে পড়া স্থায়ী হয়। আর রেজাল্ট ভালো হয়।”

রাফিয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলে, “আমার আজ অনেক খুশি লাগছে। আমার যখন মন চেয়েছে তখনই পড়েছি। তবে যতটুকুই পড়েছি মন দিয়ে। মন দিয়ে পড়লে অল্প সময়ের মধ্যে পড়া হয়। আর মন দিয়ে না পড়লে বেশি সময় পড়লেও কিছু হবে না। আমার বাবা-মা আমাকে কোনো প্রকার চাপ দেয়নি। মন দিয়ে পড়লে ভালো ফলাফল সম্ভব।”

সুপর্ণার মা নিলুফার বলেন, “বর্তমান সময়ে সব থেকে বড় সমস্যা ইলেকট্রিক ডিভাইস। আমি আমার মেয়েকে পড়ার জন্য কখনো চাপ দেইনি। সে তার মতোই পড়েছে। আমি তাকে মোবাইল থেকে বিরত রেখেছিলাম। তার স্কুল থেকেও যদি কোনো প্রকার এসএমএস আসে। সেটিও সে নিজে না পড়ে আমাকে দেখায়। আমি এই সভ্যতার মধ্যে আমার মেয়েকে আনতে পেরেছি। তাই হয়তো ভালো রেজাল্ট সে করতে পেরেছে।”

সাথী নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, “সর্বপ্রথম আমি আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাবো। তারপরে আমার মেয়েকে। সে খুবই পরিশ্রম করেছে সত্যি। সন্তানের চাপ দিলে হবে না। তাদের ভালোবাসা দিয়ে পড়াতে হবে। তারা পারবে এটা বোঝাতে হবে। তাহলেই একমাত্র সম্ভব বলে আমি মনে করি।”  

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!