মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ঢাকা মহানগরের উত্তরের ‘প্রেমিক’ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রেমিকার’ মধ্যকার যে দূরত্ব ছিল, তা ঘুচে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে মেট্রোরেল চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, “মেট্রোরেল উদ্বোধনের কারণে ঢাকা মহানগরের উত্তরের ‘প্রেমিক’ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রেমিকার’ মধ্যকার যে দূরত্ব ছিল, সেই দূরত্বও কিন্তু ঘুচে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যে কারণে দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের মুকুটে আরেকটি বিজয় পালক যুক্ত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে রপ্তানি খাতে আইসিটি খাত গার্মেন্টস খাতকে ছাড়িয়ে যাবে।”
বিএনপির গণমিছিল প্রসঙ্গে ছাত্রলীগে সভাপতি বলেন, “১০ ডিসেম্বর অনেক হম্বিতম্বি করেছিল, শেষ পর্যন্ত তাদের সেই সমাবেশ গোলাপবাগে করতে হয়েছে। গণতন্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যারা মানুষ পুড়িয়েছে, জাতির পিতাকে হত্যাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে ২১ বার যারা হত্যার চেষ্টা করেছিল, তাদের মূলোৎপাটন বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, “গতকাল মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উন্নয়নের যাত্রা কেউ যেন বাধাগ্রস্ত না করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানীবাসীর দৈনিক চার কর্মঘণ্টা বেঁচে যাবে।”
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা’য় ঘোষিত ১০ দফা দাবিতে মিছিল প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আগামীকাল তারা (বিএনপি) ঢাকা শহরে নৈরাজ্যের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা পুরো ঢাকা শহরে নাকি মিছিল করবে। মিছিল করবেন ভাল কথা, মিছিল করা গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু গণমিছিলের নামে যদি গণহয়রানি করা হয়, তবে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। ঢাকা শহরের কোনো প্রান্তে রিকশা, গাড়ি কিংবা সরকারি স্থাপনায় হাত দিলে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলছি, তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করবেন।”
এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নেতা-কর্মীদের ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে মুখর থাকতে দেখা গেছে। ব্যানার ও ফেস্টুনগুলোতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২ কোটি ঢাকাবাসীর বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন।
