চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের অবিচারমূলক ফলাফল বাতিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ৫৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
রোব বার (২৯ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সংহতি জানিয়ে অংশগ্রণ করে। সেই সঙ্গে মানববন্ধনে অংশ নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ রিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, “আমাদের এমন পরিস্থিতি হয়েছে, দাঁড়ানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। খাতা পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টা শিক্ষার্থীদের নৈতিক অধিকার হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষক যে সবসময় সঠিক থাকবে এমন কোনো বিষয় না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এমন এক অধ্যাদেশ দিয়ে রেখেছে, যার মাধ্যমে তারা বোঝানোর চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কখনো ভুলই করতে পারে না। অথচ আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক নজির দেখেছি যেখানে শিক্ষক শতভাগ ঠিক মূল্যায়ন বলার পরেও বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে দেখা গেছে সেখানে ঠিকই শিক্ষকের ভুল হয়েছে। শিক্ষকদের এই ভুলের কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগার তো কোনো কথা ছিল না। শিক্ষকরা তাদের ভুল স্বীকার করবে না কেন?”
আজিজুর রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের বেশিরভাগেরই রেজাল্ট ৩-এর উপরে ছিল। কি এমন হলো, হঠাৎ রেজাল্টা কমে গেল। এই রেজাল্ট নিয়ে আমরা যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই অপমানিত হচ্ছি। আমাদের মাস্টার্স শেষ। যে সময়ে আমাদের প্রকৃতি দেখতে আসার কথা, সেখানে মানববন্ধন করতে আসতে হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমাদের রেজাল্ট পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ করে দেন।”
বাংলা বিভাগের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অর্থসম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “যারা এখানে ভর্তি হয়েছিল, তারা মেধার পরিচয় দিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে টিকেছিল এবং তারা অনার্সেও ভালো ফলাফল করেছে। হঠাৎ কি এমন হলো যে তাদের রেজাল্টের এই ভরাডুবি। আমরা আগেও জানিয়েছি যেন শিক্ষার্থীদের খাতা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবির কর্ণপাত করেননি। তাহলে কি এভাবেই যুগের পর যুগ শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের শিকার হবে? আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জোড় দাবি জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের অনতিবিলম্বে খাতা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ করে দিন।”