• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আমরণ অনশনে জাবির অস্থায়ী কর্মচারীরা


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৯:৪৯ পিএম
আমরণ অনশনে জাবির অস্থায়ী কর্মচারীরা

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা।

রোববার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তারা।

এর আগে গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা। সেখানে তারা টানা ১৩ দিন এই কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনরত একাধিক কর্মচারী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। তাদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়, যা বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খুবই স্বল্প। এতে করে তারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

জানা যায়, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্বারকলিপি দিয়েছেন কর্মচারীরা। একই দাবিতে মানববন্ধন করা হলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অস্থায়ী কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন। সবশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন কর্মচারীরা। তখন প্রশাসন ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোতে নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেন। তবে ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেন  কর্মচারীরা। কিন্তু অবস্থান ধর্মঘটের পরেও প্রশাসন দাবি না মেনে নেওয়ায় অনশনে বসেছেন তারা।

অনশনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের মালি কাউসার হোসেন বলেন, “চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কয়েকবার দাবি জানিয়েছি। আমরা গত ১৩ দিন যাবৎ অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছি। আজ থেকে আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। এবার আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, “চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে নেওয়া হয়। ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দীর্ঘ সময় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের মধ্যে থেকে ধাপে ধাপে চাকরি স্থায়ী করার জন্য অনুরোধ করে। তবে ইউজিসির চেয়ারম্যান কয়েকটি পদ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে চেয়ারম্যান ইউজিসির বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!