• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইবির হলে ছাত্রীকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা নির্যাতনের অভিযোগ


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০১:৪৫ পিএম
ইবির হলে ছাত্রীকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা নির্যাতনের অভিযোগ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) হলের গণরুমে রাত ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হলের গণরুমে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরি খাতুন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে হলের ৩০৬ নম্বর রুম থেকে গণরুমে ডেকে সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ গণরুমের আরও পাঁচ অথবা ছয়জন মিলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত খারাপ আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হল থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া, এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড়, মুখ চেপে ধরে চোয়ালে সজোরে আঘাত, অকথ্য ভাষায় গালাগালি, বুকের ওপর আঘাত, গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে টর্চার, ময়লা গ্লাস চেটে পরিষ্কার করিয়ে নেওয়া এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন অভিযুক্ত ছাত্রীরা। এ সময় শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাচ্ছুমসহ হলের পাঁচ-ছয়জন ছিলেন।

পরে র‌্যাগ ও হয়রানির বিষয়ে কাউকে জানালে বিবস্ত্র করে ভিডিও যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এবং প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ দিলে মেরে কুত্তাকে খাওয়ানোর হুমকিও দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, “এটা একটা মিথ্যা ঘটনা। সে আমার ডিপার্টমেন্টেরও না, আমার মাধ্যমে হলে ওঠেনি। আমাকে সংশ্লিষ্ট করে এসব ঘটানো হচ্ছে। বরঞ্চ সে আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকিও দিয়েছে।”

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, “মেয়েটির একটা ঝামেলা হয়েছিল। আমরা হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডি সেটা সমাধান করে দিয়েছিলাম। রোববার রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে জানতে পেরেছি যে ওই রাতে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরীন বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এবং এর সত্যতা প্রমাণিত হলে এ রকম কুরুচিপূর্ণ কাজের জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি। উভয় পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি যাচাই-বাছাইপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, “র‌্যাগিংয়ের বিষয়টি আমি শুনেছি। র‌্যাগিং তো একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো র‌্যাগিং ছিল না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে বিষয়টি বিস্তারিত বুঝে নিই।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!