ষষ্ঠ সমাবর্তন ঘিরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠেয় সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন ১৫ হাজার ২১৯ জন স্নাতক।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে সমাবর্তনে নিবন্ধনকারী শিক্ষার্থীদের গাউনসহ উপহার সামগ্রী প্রদান কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে সমাবর্তন প্রত্যাশীদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর অবস্থা বিরাজ করছে।
সরজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, নতুন কলাভবন, বটতলা,পরিবহন চত্বর, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), সপ্তম ছায়া মঞ্চ, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ, অমর একুশ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন, ছবি চত্বর, বিজনেস অনুষদ ভবন, আবাসিক হলসহ বিভিন্ন এলাকায় স্নাতকরা গায়ে কালো গাউন আর মাথায় কালো হ্যাট পরে সেলফি, গ্রুপ ফটোসেশনে ব্যস্ত।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় রাষ্ট্রপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সমাবর্তন রেজিস্ট্রেশন কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা জানিয়েছেন, সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত স্নাতক স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১ হাজার ৪৪৪ জন, উইকেন্ড প্রোগ্রামের ৩ হাজার ৪৬১ জন, এমফিল ডিগ্রির ৩৪ জন ও পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮০ জন রয়েছেন।
সমাবর্তন ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সব দর্শনার্থীর ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমাবর্তনের দিন প্রবেশ পথ, র্যালি পথ ও মূল প্যান্ডেল সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আনা হবে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
প্রক্টর আরও বলেন, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি সব অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সমাবর্তনের দিন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলম বলেন, “উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ষষ্ঠ সমাবর্তন আয়োজনের সংকল্প ব্যক্ত করেছিলাম। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাবর্তন আয়োজন করতে পেরে আমি অভিভূত।”