• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫
শাবিপ্রবির ফজিলাতুন্নেছা হল

খাওয়ার পানির অপব্যবহার না করার নিদের্শনা


শাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ১২:৪৪ পিএম
খাওয়ার পানির অপব্যবহার না করার নিদের্শনা
ছবি: সংগৃহীত

ট্যাংকির পানিতে বেশি আয়রন থাকায় ফিল্টার করা পানি দিয়ে গোসল ও অন্যান্য কাজ করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নবনির্মিত বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা। ফলে ফিল্টার করা পানি অপব্যবহার না করার এক বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফিল্টারের পানি অপব্যবহার না করার জন্য এ নির্দেশনা দেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের যাতে পানিবাহিত কোন রোগ যেমন: টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়েরিয়া না হয়, সে জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু কিছু ছাত্রী ফিল্টারের পানি দিয়ে গোসল করে, কাপড় ও বাসন-কোসন পরিষ্কার করে। তাই ফিল্টারের পানি অপব্যবহার না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এদিকে ফজিলাতুন্নেছা হলের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলের পানিতে অনেক বেশি আয়রন। ফলে সবকিছু অল্পতে লালচে হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে নতুন কাপড় পরিষ্কার করলে তা অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আয়রনযুক্ত পানির কারণে তাদের মাথার চুল পড়ার হার বেড়েছে। এক্ষেত্রে হল প্রশাসনকে আয়রনমুক্ত নিরাপদ ব্যবহারযোগ্য পানির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রীরা।

এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ বলেন, “আমরা চাই শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে এখানে থাকুক। তাদের সুবিধার্থে আমরা বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছি। তবে শিক্ষার্থীরা তার যথাযথভাবে ব্যবহার করছে না।”

বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার নিয়ে তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হলের প্রতিটি ব্লকে ফিল্টার লাগানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা ফিল্টার করা পানি দিয়ে গোসল করছে, কাপড়চোপড় পরিষ্কার করছে। আমরা নিজেদের বাসা বাড়িতে কি ফিল্টার করা পানি দিয়ে গোসল করি? কাপড়চোপড় ধুই? তা যদি না হয়, এখানে কেন এমনটা করি? তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে ফিল্টার করা পানি যাতে যথাযথ ব্যবহার করে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে প্রতিটি হলে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বসানো হয়েছে ভালো মানের ফিল্টার। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, কিছু ছাত্রীরা ফিল্টারের পানি দিয়ে গোসল করে, কাপড় পরিষ্কার করে, বাসনকোসন পরিষ্কার করে। হলটি চালু হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহে হয়েছে, তবে এসব কাজে ফিল্টার করা পানি অপচয় করা হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি ফিল্টারের পানির অপব্যবহার না করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

শাহপরাণ ও মুজতবা আলী হলের মতো মেয়েদের হলের জন্যও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানো হবে বলে জানান উপাচার্য।

Link copied!