• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেও পোষ্য কোটায় ভর্তি


বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম
বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেও পোষ্য কোটায় ভর্তি

ভর্তি পরীক্ষায় নির্দিষ্ট নাম্বার  না পেয়েও ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বজনরা।

সদ্য প্রকাশিত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.  শাহজাহান কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঐ শিক্ষার্থীদের ভর্তির  নির্দেশনা দেওয়া হয়। গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০ থাকলেও এর কম পাওয়া শিক্ষার্থীকে বশেমুরবিপ্রবিতে পোষ্য কোটায় ভর্তি করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী পোষ্য কোটায় শুধুমাত্র ঔরসজাত সন্তান, স্বামী বা স্ত্রী সুযোগ পেলেও বশেমুরবিপ্রবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১১ জন ভাই-বোনকে পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

তারা হলেন, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খাদিজা আক্তারের ভাই মো. ওমর ফারুক নাদিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা উদ্দিনের বোন মাসলিনা উদ্দিন নাসিতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানোয়ার হুদার বোন নাহারিন জান্নাত, এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেনারি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের বোন জান্নাতুল আদনীন, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আল আমিনের বোন আইরিন আক্তার আঁখি, বাস হেলপার রহমান মুন্সীর বোন ফাতেমা আক্তার মৌ, বায়োজেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব টেকনিশিয়ান সোহেল রানার ভাই মো. লিটন মোল্লা, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মনিরুজ্জামানের বোন শারাবন তাহুরা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবাইদুর রহমানের ভাই মো. জাকারিয়া হোসেন ও ল্যাব টেকনিশিয়ান রফিকুল ইসলাম অপুর ভাই ইবাদ আলী। এই প্রক্রিয়ায় তাদের মোট ১৩ জন ভর্তির আবেদন করেন। যাদের মধ্যে তিনজনের জিএসটি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ছিলো ৩০ এর কম। পরবর্তীতে দুইজনকে বাদ দেওয়া হয় এবং একজন শিক্ষার্থীকে ইতিহাস বিভাগে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবাইদুর রহমানের ভাই।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পোষ্যকোটায় ভাই-বোনদের সুযোগ না দেওয়ার বিষয়ে এবং শুধুমাত্র ঔরসজাত সন্তানদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.  শাহজাহানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, “ভাই-বোন কোটায় ফেল করা শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি আমরা রিজেন্ট বোর্ডে উত্থাপন করব। তারা পাস না করলে এটা বাতিল হবে।”

Link copied!