• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ২


শাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
শাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল ও বঙ্গবন্ধু হলের মাঝখানে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আরিফ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আশফাকুর। তাদের সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান,  ২০২১-২২ ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ওই ব্যাচের মেসেঞ্জার গ্রুপে পরিসংখ্যানের বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহসভাপতি মামুন শাহর সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক মন্তব্য করেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইশতিয়াককে শাহপরান হলে ডাকেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান। মীমাংসার জন্য বসলে ওই হলের অতিথি কক্ষে মামুন শাহর সমর্থক ও ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৈমুর সালেহীন তাউসের সঙ্গে খলিলুর ও সজীবুর রহমানের গ্রুপের সিনিয়রদের তর্কাতর্কি হয়। পরে বেলা ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে খলিলুর রহমানসহ কয়েকটি গ্রুপের সমর্থকরা গেলে মামুন শাহয়ের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। উভয়পক্ষের মধ্য ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। এসময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মামুন শাহর দুজন সমর্থক আহত হন।

এ বিষয়ে মামুন শাহর সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক বলেন, “ব্যাচের নামকরণ পছন্দ না হওয়াতে আমি কথা বলেছিলাম। পরে শান্ত তারা আদনান আমাকে শাহপরান হলে ডেকে নিয়ে শাসিয়েছে ও সিনিয়রদের নিয়ে আমাকে মারতে গেছিল। পরে আমি আমার গ্রুপের ভাইদের জানাই। তারা আমাকে সেখান থেকে নিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গিয়েও আদনানরা ঝামেলা করেছে।”

এ বিষয়ে খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান বলেন, “ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ঝামেলা হওয়াতে মীমাংসার উদ্দেশ্যে বসা হয়। সেখানে সেটা মীমাংসাও হয়। কিন্তু পরে ইশতিয়াক তার গ্রুপের সমর্থকদের নিয়ে ঝামেলা বাঁধায়। সংঘর্ষের সময় আমার হাতে কোনো অস্ত্রশস্ত্র ছিল না।”

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান বলেন, “২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নামকরণ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে ঝামেলা হয়। পরে তারা মীমাংসার বসছিল। এ নিয়ে ওদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় ও সংঘর্ষ বাঁধে। প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগের সিনিয়ররা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ব্যাচের নামকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!