• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ মুহররম ১৪৪৬

জবির কেন্দ্রে টিকা পেল ১৯৬০ শিক্ষার্থী


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০৮:৫৪ পিএম
জবির কেন্দ্রে টিকা পেল ১৯৬০ শিক্ষার্থী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে ছয়দিনে টিকা পেয়েছে মোট ১ হাজার ৯৬০ শিক্ষার্থী। সহজেই টিকা নিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে টিকার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব শিক্ষার্থীর এনআইডি ছিল না তাদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই এনআইডি নিবন্ধন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এনআইডি না থাকায় এর আগে যারা টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তারাও এনআইডি নাম্বার নিয়ে কেন্দ্র থেকেই রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিতে পেরেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিনে ১০৫, দ্বিতীয় দিনে ২৮০, তৃতীয় দিনে ৩৫০, চতুর্থ দিনে ৩৯৫, পঞ্চম দিনে ৫০০ জন এবং রোববার শেষ দিনে ৩৩০ জন শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করেন।

নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি আহম্মেদ বলেন, আমার এনআইডি কার্ড না থাকায় টিকা দিতে পারব কিনা এ নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু আমি ক্যাম্পাসে বসে এনআইডির জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছি এবং রেজিস্ট্রেশন স্লিপ দেখিয়ে টিকা নিয়েছি। প্রথমে আমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখানে দায়িত্বরত ভাইয়া-আপুরা আমাকে সহায়তা করেছে। আমি শেষ দিনে টিকা নিয়েছি।

জানা যায়, গত ৩ জুন জবির শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এনআইডি না থাকা, তথ্য দেওয়ার প্রক্রিয়া না জানাসহ একাধিক কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তথ্য দিতে পারেনি। পরে আরও কয়েক ধাপে শিক্ষার্থীদের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।  তবে সুরক্ষা অ্যাপে আবেদনের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া না জানায় অনেক শিক্ষার্থীই রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি। এসব জটিলতা কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। 

গত ২১ অক্টোবর জবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের দিনে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র উদ্ধোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। প্রথমে পাঁচ দিনব্যাপী টিকা প্রদানের কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের চাহিদা থাকায় এই কার্যক্রম একদিন বাড়ানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেক খুশি আমাদের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে পেরে। 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাহিদা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করেছি। 

Link copied!