চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের শিশু আবু হুরাইরাকে (১১) হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের মোহাম্মদ মোমিন (২৩)। আর ১৪ বছরের কারাদণ্ড আসামিরা হলেন–পারভেজ আহমেদ (৩০) ও আশরাফুজ্জামান রিজন (৩০)। তবে দণ্ডিতদের মধ্যে পারভেজ আহমেদ পলাতক আছেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন জানান, ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তালতলা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবু হুরাইরা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি আব্দুল বারেক বাদী হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক রঞ্জু হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর কিছুদিন পর গোপন অনুসন্ধানে তথ্য পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ একই গ্রামের মোহাম্মদ মোমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে তালতলা কবরস্থানের একটি পুরাতন কবরের ভেতর থেকে শিশু আবু হুরাইরায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট তালতলা গ্রামের শহিদুল একই গ্রামের রিজন ও পারভেজকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান।
মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোমিনকে মৃত্যুদণ্ড ও আশরাফুজ্জামান ও পারভেজ আহমেদকে ১৪ বছর করে যাবজ্জীবন করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি পারভেজ আহমেদ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।