নওগাঁয় বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে দাম। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীত যত বাড়বে, সরবরাহও তত বাড়বে, আর কমবে দাম।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) নওগাঁর পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম দিকে ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে শিমের দাম ছিল ৫০ টাকা কেজি। এখন সেটা ৩০ টাকায় নেমে এসেছে। গাজর ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। করলা ছিল ৬০ টাকা, এখন পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়। লাউ প্রতি পিস ছিল ৩০ টাকা, এখন ২০ টাকায়। মূলা ছিল ১০ টাকা কেজি, এখন চার টাকা কেজিদরে মূলা বিক্রি হচ্ছে। পালং শাক ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ১০ টাকায় নেমে এসেছে।
বাজারে নতুন আলু ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এখন তা ৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ধনেপাতা ছিল ৬০ টাকা, এখন তা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। পাতা পেঁয়াজ ছিল ৩০ টাকা, এখন ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন সবজির দাম কমলেও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহ আগেও যে মরিচ ছিল ৬০ টাকা কেজি, আজ সকালে তা বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় চলতি শীত মৌসুমে মোট ৭ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এ বছর শাকসবজির আবাদ ভালো হয়েছে। এতে কৃষকরা যেমন ভালো দাম পাচ্ছেন, তেমনি ক্রেতারাও কিনতে পারছেন অল্প দামে।
নওগাঁ কৃষি উপপরিচালক আবুল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকরা শীতকালীন সবজির মধ্যে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লালশাক, পালং শাক, মূলা, বরবটি, গাজর, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা ইত্যাদি আবাদ করেছেন।