স্ত্রীকে জোরপূর্বক বিষ পান করিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে স্ত্রী হত্যার মামলায় স্বামী সজিব শেখকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সজিব শেখ উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বাগদিয়া গ্রামের কাউসার শেখের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৬ জুন সজিবের সঙ্গে তার পাশ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলার মেয়ে রিনা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সজিবসহ তার পরিবার বিভিন্ন সময় রিনাকে যৌতুকের দাবিতে চাপ দিত ও নির্যাতন করত। চাহিদা মতো যৌতুক না পেয়ে ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর দিনগত গভীর রাতে সজিব শেখ ও তার সহযোগিরা রিনা আক্তারের মুখে জোরপূর্বক বিষ ঢেলে দেন। পরে রিনাকে আত্মহত্যার চেষ্টায় বিষ খাওয়ার নাটক সাজিয়ে আসামিরা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার পরেরদিন ২৮ ডিসেম্বর রিনা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

পরে সজিবের পরিবার রিনার বাড়িতে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে রিনা আক্তারের ভাই মো. সুজন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে যাওয়ার পর সজিব শেখের পরিবার সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বিস্তারিত পড়ুন

সেই ঘটনার পরে এ বছরের ১ জানুয়ারি রিনা আক্তার মারা যাওয়ার আগে তাকে বিষ খাওয়ানোর ঘটনাটি ভাই সুজনের কাছে খুলে বলে।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি রিনা আক্তারের ভাই সুজন বাদী হয়ে চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) ১১ (ক)/৩০ ধারায় বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর থেকে সজিব শেখসহ তার বাড়ি লোকজন পালিয়ে যায়। এরপর থেকে সজিব শেখ পালিয়ে কৃষক সেজে বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের বনমালীপুর এলাকায় কাজ করছিল। এমন খবর পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে মামলার প্রধান আসামি সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব বলেন, “স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সজিব শেখকে গ্রেপ্তার করে সোমবার ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।”