• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভূমিকম্পে যে অভিজ্ঞতা হলো রামগঞ্জবাসীর


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ০৪:৩০ পিএম
ভূমিকম্পে যে অভিজ্ঞতা হলো রামগঞ্জবাসীর
প্রতীকী ছবি

যে ভূমিকম্পে সারা দেশ কেঁপে উঠেছিলো, তার উৎপত্তিস্থল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের সিরুন্দী গ্রাম।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে ৫ দশমিক ৬ রিখটার স্কেলের মাঝারি মাত্রার ভূকম্পনটি অনুভূত হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, রামগঞ্জ উপজেলা থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব–উত্তর–পূর্বে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের মাত্রা উৎপত্তিস্থলে ৫ দশমিক ৫।

তবে এমন তীব্র ভূকম্পন গত কয়েক বছরের মধ্যে তারা অনুভব করেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানান, ভূমিকম্পের সময় তাদের বিল্ডিং কেঁপে উঠেছে। এ ধরনের ভূকম্পন এলাকায় আর হয়নি। মনে হচ্ছিল ঘরবাড়ি-গাছপালা তাদের ওপর ভেঙে পড়ছে।

রামগঞ্জের দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “আমি শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে খাট নড়ে উঠছিল। পুরো বিল্ডিংটাই নড়ছিল। এ ধরনের ভূমিকম্প গত কয়েক বছরে দেখিনি। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল। তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবু খোঁজ নেওয়া হয়েছে।”

রামগতির প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, “রামগঞ্জে ভূকম্পনের উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। রামগতিতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।”

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান জানান, ভূমিকম্পটি রামগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবু রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।

Link copied!