রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টানা ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীসহ দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
গত ২৭ ও ২৮ অক্টোবর দুই দফায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে হাসপাতালের ভিতরে বৈদ্যুতিক লাইন পুড়ে গিয়ে এতে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
২০২১ সালের শেষের দিকে উদ্বোধন হওয়া ৫০ শয্যার নতুন ভবনে এ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল অভিযোগ স্থানীয়দের। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হাসপাতালটি নির্মাণ করে।
হাসপাতাল ভবনে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে অস্থায়ী মিটার দিয়ে আলাদা লাইন টেনে জরুরি কিছু জায়গায় লাইট ও ফ্রিজে রাখা ওষুধ নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় ইপিআর রুমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে জানা যায়, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয়দের অভিযোগ তারা অল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ করছে। এই কাজ শেষ করতে আরও তিন থেকে চার দিনের বেশি সময় লাগবে।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটির সদস্য ও বেতবুনিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলী আতিকুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে একবার ট্রায়াল দেওয়া হয়েছিল। কারিগরি ত্রুটি থাকায় সেবারও বিদ্যুৎলাইনের ফিউজ কেটে যায়। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ঠিকাদারের লোকজন চট্টগ্রাম থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসে আবার লাইন দেওয়ার চেষ্টা করে টান্সফরমারের ত্রুটি খুঁজে পায়। যা মেরামতের জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কমিটির সদস্য ডা. ফরহাদুল আলম জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির কাজের অদক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে। তদন্ত কাজে অনেক ভুল উঠে এসেছে। হাসপাতাল ভবনের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ লাইন টানার কাজ ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
আপনার মতামত লিখুন :