রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডাকা তিন দিনের কর্মবিরতি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকালে তাদের কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত করে কাজে যোগ দেন। শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর থেকে তারা কর্মবিরতি পালন করছিলেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন জানান, দুপুরে হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে রোগীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী বিকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেন।
রামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, “ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া হাসপাতাল চালানো বেশ কঠিন। তারা কাজে না ফিরে এলে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়বে। সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিতে ইন্টার্নদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্মঘট চলাকালীন সিনিয়র ডাক্তারদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে গেছেন। ফলে রোগিদের কিছুটা দুর্ভোগ কম হয়েছে। ইন্টার্নরা কাজে ফিরে এসেছেন, এখন আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা।”
এর আগে, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র শাহরিয়ার। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় রাবি শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও রাবি শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে পৃথক দুইটি মামলা করেন। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন দাবিতে রোববার পৃথক বিক্ষোভ করে রাবি ছাত্র ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আপনার মতামত লিখুন :