• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

হাসপাতালের বিমে ফাটল, খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৩, ১২:৪৩ পিএম
হাসপাতালের বিমে ফাটল, খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। খুলে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসা ও দাপ্তরিক কাজ চলছে।

এদিকে, যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে এই ফাটল ঠেকাতে ইউক্যালিপটাস গাছের খুঁটি দিয়ে ভবন রক্ষার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন রোগী আর স্বজনরা ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মূল ভবনের নিচ তলায় ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ছে। বিমেও ফাটল ধরেছে। আর সেখানেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন রোগী আর স্বজনরা। কক্ষের ভেতর ছাদে পলেস্তারার ফাটল ঠেকাতে ইউক্যালিপটাস গাছের খুঁটির ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে।

২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবন এটি। এ ভবনের একপাশে পুরোটাই শিশু ওয়ার্ড। হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডের ভবন ধস ঠেকাতে ওই স্থানে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাবধানতা অবলম্বন করতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যানার।

এমন অবস্থাতেও দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

চিকিৎসা নিতে আসা মো. আরিফ হাসান বলেন, ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। এ ভবনে চিকিৎসা করাতে ভয় হয়, কখন কোন দুর্ঘটনায় পড়ি বলা মুশকিল।

রোগীকে স্বজনরা বলেন, সামনে বাঁশের খুঁটি। ভয় হয় কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় আমরা সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, “আমরা ওই স্থানটিকে ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করেছি। তারপরও যদি কেউ ব্যবহার করে সে ক্ষেতে আমরা ব্যবস্থা নিবো যেন রোগীরা এটা ব্যবহার না করতে পারে। আমরা আশা করছি দ্রুত এই  সমস্যার সমাধান হবে।”

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, “আমরা মাসিক মিটিংয়ে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। আশা করি এই বছরে মেরামত করা হবে।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, ১৯৮৭ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরুর পর ১৯৯৭ সালে ১০০ এবং সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় হাসপাতালটি। তবে শিশু ওয়ার্ডটি রয়ে গেছে পুরাতন ভবনেই।

Link copied!