অবশেষে লালমনিরহাটের আকাশে উঁকি দিল সূর্য। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে কিছুটা উষ্ণতার পরশ পেল এ জেলার মানুষ। কয়েক দিনের টানা শীতের পর কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে সাধারণ মানুষ। সকালে কর্মস্থলে যাতায়াতে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রোদের দেখা পাওয়ায় ঘর থেকে বের হন অনেকে। স্বস্তি এসেছে রাস্তায় জুবুথুবু হয়ে থাকা অসহায়দের মাঝেও। বাসার ছাদ, বারান্দা কিংবা ফাঁকা জায়গায় রোদের উষ্ণতা নেন সববয়সী মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, লালমনিরহাটে শনিবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকালে কমে তা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়।
টানা ৬ দিন ধরে লালমনিরহাটে সূর্যের দেখা মেলেনি। এই কয়েক দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কেঁপেছে এ অঞ্চলের মানুষ। শীতের তীব্রতার সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর শিরশিরে হাওয়ায় কাহিল অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো খেটে খাওয়া মানুষের। শীতের প্রকোপে জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছিল। সূর্য উঠায় ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে নেমে পড়েছে সবাই। সমান তলে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা।
সূর্যের দেখা মেলায় শীত কিছুটা কমেছে। তবে বেলা গড়ার সাথে সাথে সূর্যের তেজ আবারও কমতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমের শীতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বেশি কষ্ট পায়।
দিনভর থাকে হিমেল হওয়া। সন্ধ্যা না নামতেই হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় কুয়াশা। রাত যত গভীর হয় কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। দিনে কুয়াশা কমলেও অব্যাহত হিমেল হাওয়ায় কমে না শীতের প্রকোপ।
এদিকে ঠান্ডার কারণে শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী।
লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, “জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া বযস্ক লোকজনও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীতজনিত রোগের মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট বেশি দেখা দিয়েছে।”
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ২৪ হাজার পিস কম্বল বিতরণ অব্যহত রয়েছে।
সম্প্রতি আরও ২ হাজার পিস কম্বল এসেছে বলেও তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :