• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

আশ্বাসের পর বিক্ষোভ স্থগিত করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ১০:৪৯ এএম
আশ্বাসের পর বিক্ষোভ স্থগিত করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ স্থগিত করেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাসে বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে তারা রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে সরেছেন। এর আগে রাবি, রামেক হাসপাতাল ও নগর পুলিশের সভায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের দাবি, হাসপাতালে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে।

অন্যদিকে রাবি শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা অবহেলা ও হামলার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে হাসপাতালের এ ঘটনায় রাতে বৈঠকে বসে কর্তৃপক্ষ। রাত দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহরিয়ারের চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ তদন্তে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীকে। এ ছাড়া কমিটিতে থাকবেন হাসপাতালের উপপরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দুই প্রতিনিধি ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) দুই প্রতিনিধি।

এর আগে, বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হাবিবুর রহমান হলের তিনতলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার। পরে তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর হাসপাতালে শাহরিয়ারকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে এবং দুই চিকিৎসককে মারপিট ও অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় হাসপাতালের আনসার সদস্য ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এতে পাঁচ রাবি শিক্ষার্থী আহত হন। চিকিৎসায় অবহেলা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি এবং আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবিতে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন রাবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা তিন দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেন।

অপরদিকে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ও কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বুধবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘোষণা দেন তারা।

কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, “ওই শিক্ষার্থী মারা গেলে রাবি শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর হামলা করে এবং হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ অবস্থায় দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। হামলার বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা কাজে যোগ দেব না।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। আইসিইউতে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল।”

Link copied!