মোংলা কাস্টমসে শাটডাউন ও চলমান ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে পুরো বন্দর। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও পরিবহন খাতের মানুষ। রাজস্ব আদায়ে বাধা ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাওয়ায় মানববন্ধন করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২৯ জুন) দুপুরে মোংলা পৌর মার্কেট চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বন্দরের পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, কাস্টমস শাটডাউন দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের হুমকি। এতে শুধু মোংলা নয়, পুরো দেশের বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। রাজস্ব আদায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকার যেমন বিপুল আয় হারাচ্ছে, তেমনি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন এবং হাজারো শ্রমিকের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, কাস্টমসের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিজেদের স্বার্থে চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্দোলনের নামে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম অচল করে দিয়েছেন। এতে দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বলেন, যারা অচলাবস্থা তৈরি করছে, তাদের বরখাস্ত করে সেখানে নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত বেকারদের চাকরির সুযোগ দেওয়া হোক।
মানববন্ধনে ইপিজেড ব্যবসায়ী মো. নাসির তালুকদার, বন্দর ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান মানিক, ব্যবসায়ী নেতা এমরান হোসেন ও শ্রমিক নেতা মো. আলাউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা অচল হলে এর প্রভাব শুধু বন্দর শহরে নয়, গোটা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তারা যদি দ্রুত তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার না করেন, তাহলে কাস্টমস হাউস ঘেরাও, লাগাতার কর্মসূচি এবং আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যাবেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
এদিকে কাস্টমস শাটডাউনের কারণে বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। শত শত কনটেইনার ও কার্গো জাহাজ বন্দরে আটকা পড়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। তারা দ্রুত কাস্টমস কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবি জানান।