দুলাভাইকে হত্যার দায়ে শ্যালকের জেল

লালমনিরহাটে দুলাভাইকে হত্যার দায়ে শ্যালক আব্দুল আলীম বাবলুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন। একই রায়ে মামলার অপর আসামি বাবলুর মা মোছা. রশিদা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

আব্দুল আলীম সদর উপজেলার কিশামত চোঙ্গাডারা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জের বাসিন্দা ইউনুছ আলীর ছেলে এরশাদ আলীর সঙ্গে সদর উপজেলার চোংগাদারা এলাকার রশিদা বেগমের মেয়ে সুলতানা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের চার বছর পর কলহের জেরে স্ত্রী সুলতানা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে সদর উপজেলার চোঙ্গাডারা গ্রামে বাবার বাড়ি চলে আসেন। পরে এরশাদ স্ত্রীকে নিতে শ্বশুড়বাড়িতে এলে ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই স্বামী-স্ত্রী, শ্বাশুড়ি ও শ্যালকের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে জড়ায় এরশাদ। ওই কলহের জেরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুলাভাই এরশাদ আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবলু। পরে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ঘটনার পরদিন (১৭ জুলাই)  শাশুড়ি ও শ্যালককে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে নিহতের বাবা লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।