• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল পাবনার ক্ষুদে বিজ্ঞানীর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৪, ১১:০০ এএম
ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল পাবনার ক্ষুদে বিজ্ঞানীর

রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়া পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার শিশু বিজ্ঞানী তাহের মাহমুদ তারিফ (১৮) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (০৭ মনে) ঈশ্বরদী-পাবনা সড়কের কালিকাপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা-ট্রাকের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা নেওয়ার পথে বিকেলে তারিফ মারা যান।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তাহের মাহমুদ তারিফ ঈশ্বরদী পৌর শহরের নারিচা এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।  তিনি ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

পাকশী হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পাবনায় যাচ্ছিলেন তারিফ। পথে দাশুড়িয়ার কালিকাপুরে ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এতে তাহের মাহমুদ তারিফ গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেওয়ার পথে টাঙ্গাইলের কাছে বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞানের সামগ্রী কেনার জন্য তারিফ পাবনা যাচ্ছিলেন। মাঝে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। বিজ্ঞানে প্রতিভাধর ক্ষুদে বিজ্ঞানীর মৃত্যুর ঘটনায় ছড়িয়ে পড়লে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

তিনি জানান, করোনার সময় অল্প খরচে বাতাস থেকে অক্সিজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট তৈরি করে দেশব্যাপী তাক লাগিয়েছিলেন তাহের মাহমুদ তারিফ। তখন তিনি ঈশ্বরদী সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। করোনার আগে তার বাবা শ্বাসকষ্টে মারা যান। বাবার মৃত্যুর ঘটনায় তাহের মাহমুদ অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা শুরু করে।

২০২১ সালে ৮ জুন ঈশ্বরদীর ইউএনও কার্যালয়ে সাংবাদিকদের অক্সিজেন জেনারেটরটির উদ্ভাবন সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন তাহের মাহমুদ তারিফ। ক্ষুদে এই বিজ্ঞানীর সাফল্যে ২০২২ সালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণে তাকে ‘শেখ রাসেল’ পুরস্কৃত করা হয়।

ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, “আমরা একজন ক্ষুদে বিজ্ঞানী ও মেধাবী শিক্ষার্থী হারালাম। “

সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, “ক্ষুদে বিজ্ঞানী তারিফ এ স্কুলে থাকা অবস্থায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করে দেশে তাক লাগিয়েছিল। অল্পবয়সে তার খ্যাতি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।”

Link copied!