• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ত্রিভুজ প্রেমের বলি স্কুলছাত্রী জেসিকা


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ১২:২৮ পিএম
ত্রিভুজ প্রেমের বলি স্কুলছাত্রী জেসিকা
জেসিকা মাহমুদ

একই ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্কুলছাত্রী জেসিকা মাহমুদ ও আদিবা আক্তারের। কিন্তু প্রেমিক বিজয় রহমান সিদ্ধান্ত নেন আদিবাকে বিয়ে করবেন। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন জেসিকা। এ নিয়ে জটিলতার জেরেই জেসিকাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন বিজয় ও আদিবা। পরে জেসিকা ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে নাটক সাজান তারা।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে জেসিকার মৃত্যুর ঘটনায় আদিবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদিবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেসিকা মৃত্যু হয়। সে মুন্সীগঞ্জের আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থী ও সৌদিপ্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে।

এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় জেসিকার ভাই মো. শাহরিয়ার জিদান বাদী হয়ে বিজয় ও আদিবার নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার প্রধান আসামি বিজয় মুন্সীগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরিফুর রহমানের ছেলে এবং অপর আসামি আদিবা পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের মেয়ে।

মামলার পর আদিবাকে শহরের উপকণ্ঠ নয়াগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে দেওয়া ১৬১ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে আদিবা।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুমন দেব জানান, দুজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিজয় আদিবাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানতে পেরে জেসিকা ক্ষুব্ধ হয়ে বিজয়ের সঙ্গে তার কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট আদিবাকে পাঠায়। এ নিয়ে তিনজনের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়।

সুমন দেব আরও জানান, একপর্যায়ে জেসিকাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বিজয় ও আদিবা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেসিকাকে বিজয়ের বাসায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বিজয় জেসিকার গলা চেপে ধরেন। এতে জেসিকা অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জেসিকাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বিজয় এবং সে ছাদ থেকে পড়ে গেছে বলে জানান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসিকার মৃত্যু হয়।

Link copied!