• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে নদ-নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার শঙ্কা


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রামে নদ-নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার শঙ্কা

কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে এসব নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাড়ি-ঘরের চারপাশে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার কয়েকটি চরে তলিয়ে গেছে বীজতলাসহ সবজি ক্ষেত।

আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে জেলায় বন্যার হবার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৮ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি সমতলে বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই সময়ে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৭৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৪০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ১৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম শহরের সেতু পয়েন্টে ৬৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে ।

সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র তীরের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, “ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলের নিচু এলাকা ইতোমধ্যে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অনেক ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে।”

 শহিদুল মিয়া নামের একজন বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে দ্রুত পানি বাড়ছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে যাত্রাপুর হাটের নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। নৌকার ঘাট বাজারের সঙ্গে এসে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে অনেক জায়গা তলিয়ে যাবে।”

কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, দুধকুমার ও ধরলা অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এই নদী সমূহের পানি সমতলে বৃদ্ধি পেতে পারে। তিস্তা নদীর পানি লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্ট ও দুধকুমার কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।”

সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ। তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সভা করেছি। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রানসামগ্রী মজুদ ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।”

Link copied!