খুলনায় নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মঞ্চ। ১৩ নভেম্বর দুপুর ২টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে জেলায় ব্যাপক সাজসজ্জার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় আসার কথা থাকলেও পরিবর্তন হয়েছে সফরসূচি। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিন চূড়ান্ত করা হয়েছে। ওই দিন দুপুর ২টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ১০ দিন ধরে খুলনা মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডপর্যায়ে মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি, বর্ধিত ও কর্মীসভার আয়োজন করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চার থেকে পাঁচ দিন আগে সার্কিট হাউজ মাঠে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সামনে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মাঠও তৈরি করা হচ্ছে। জনসভাস্থলে আগত নেতাকর্মীদের জন্য সার্কিট হাউজ মাঠে রাখা হয়েছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ টয়লেট। সার্কিট হাউজের আশপাশের সড়কগুলোতে কার্পেটিং করা হচ্ছে। সার্কিট হাউজের চারপাশের ড্রেনের কাভারগুলো রঙ করা হচ্ছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা। নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত। খুলনার মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডপর্যায়ে প্রতিনিয়ত চলছে কর্মীসভা, প্রস্তুতি সভা। ব্যানার ও তোরণে সেজেছে গোটা নগরী। খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। জনসভা সফলে সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।