• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

৫ ডিগ্রিতে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৮:১২ এএম
৫ ডিগ্রিতে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা
উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু জনজীবন। ছবি : প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে রাতভর টিপ টিপ বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে ভিজে গেছে পিচঢালা পথ। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারদিক। উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু জনজীবন। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। কনকনে বাতাস আর ঘন কুয়াশায়সহ হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এর আগে, সকাল ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, জেলায় কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চললেও তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামায় তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে পরিণত হয়েছে।

এসব এলাকার ওপর দিয়ে শীতল হাওয়া অনবরত বয়ে যাওয়ায় কুয়াশা কমলেও শীতের তীব্রতা কমেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরেই গভীর রাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। সকাল পেরিয়ে দুপুরেও ফাঁকা থাকছে রাস্তাঘাট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের ভোগান্তিতে পড়েছেন পঞ্চগড়ের খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। এর সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু কিছু যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তবে ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে সাত সকালেই বের হন শ্রমজীবী মানুষেরা। ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে বিঘ্নিত হয়েছে যানবাহন চলাচল।

মিজানুর রহমান নামের এক পাথর শ্রমিক বলেন, প্রতিদিন সকালে বরফ গলা ঠান্ডা পানিতে নেমে পাথর উত্তোলন করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আজকে মনে হচ্ছে তীব্র শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। যেন বরফ পড়ছে। তারপরও থেমে নেই কাজ। পরিবারের কথা চিন্তা করেই বাধ্য হয়েই কাজ করতে হয়।

এদিকে, উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশার দাপটে উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে দুদিন ধরে বয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে, তীব্র শীত আর কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।

Link copied!