• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে স্বাবলম্বী কৃষকেরা


হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৮:৩৪ এএম
আগাম শীতকালীন সবজি চাষে স্বাবলম্বী কৃষকেরা

টাঙ্গাইল জেলায় চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আগাম সবজি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলার ১২টি উপজেলায় শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছরে জেলায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, গত বছর জেলায় প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছিল। এসব সবজি বিক্রি করে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হয়েছিলেন। এ কারণে এ বছর শীত শুরুর অনেক আগেই ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল, শিম, টমেটো, বেগুন, লাউসহ শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে। গ্রামজুড়ে শুধুই সবজির আবাদ। খামার-ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষকরা।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শত শত বিঘাজুড়ে শীতের হরেক রকম সবজি চাষ করছেন কৃষকরা। এর মধ্যে মুলা, বেগুন, করলা, ঢেঁড়স, পটল, শিম, মিষ্টিকুমড়া, চাল-কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, গাঁজর, লাল শাক, পুই শাক, পালং শাকসহ শীতের বেশ রকমের শাক-সবজি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি। প্রকল্পভিত্তিকও চাষ হচ্ছে এই সব সবজি।

কৃষকরা জানান, শীতের সময়েই বাজারে শীতকালীন সবজির চাহিদা থাকে। তবে মৌসুমের শুরুতে শীতকালীন সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। এ কারণে তারা শীত শুরু হওয়ার আগেই শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করে দিয়েছেন।

জেলার ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আল-আমিন বলেন, “সবজি চাষের ফলে আমাদের সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। আমরা এখন স্বাবলম্বী। এখন আমাদের শাক-সবজি বিক্রির জন্য হাটবাজারে যেতে হয় না। সবজি ক্ষেত থেকেই পাইকাররা ন্যায্য দামে কিনে নিয়ে যায়। দামও ভালো পাওয়া যায়।”

একই এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলক মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও অনেক কম। তবে সেবায় ত্রুটি করা যাবে না। কম সময়েই সবজি বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। প্রায় দিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়।

দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারহানুল কবির বলেন, “আগাম শীতকালীন সবজির সব সময় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই কৃষকরা আগাম বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষে বেশি আগ্রহ হচ্ছেন। আমরা মাঠে থেকে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।”

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন বলেন, জেলায় এবার আগাম শীতকালীন সবজি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শাক-সবজির আবাদ কিভাবে বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রযুক্তি সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।  

Link copied!