• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আমনের বাম্পার ফলনের আশা


এম এ রাজ্জাক, নওগাঁ
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২২, ০৮:০৩ এএম
আমনের বাম্পার ফলনের আশা

নওগাঁ জেলায় চলতি আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ২৯ হাজার ৮২৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে জেলার ১১টি উপজেলায় এ বছর আমন চাষ হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৯ হেক্টর জমিতে। খরিপ ২/২০২২ রোপা আমন আবাদের আওতায় উল্লেখিত পরিমাণ জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।

উপজেলাভিত্তিক আমন চাষের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় উফশী জাতের ৮ হাজার ৬৯০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৯৭৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৭০ হেক্টর, রাণীনগর উপজেলায় উফশী জাতের ১৭ হাজার ৮৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২৪৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় উফশী জাতের ৩ হাজার হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২ হাজার ১২৫ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় উফশী জাতের ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৫০০হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় উফশী জাতের ১৮ হাজার ৪০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১০ হাজার ৩০০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় উফশী জাতের ২৫ হাজার ১০০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৩ হাজার হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় উফশী জাতের ১৯ হাজার ৪৩ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৬৬৩ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৫০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় উফশী জাতের ১০ হাজার ১০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৫০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় উফশী জাতের ১৫ হাজার ৪৮২ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ২৭০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় উফশী জাতের ১৩ হাজার ৩১০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৪৬০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় উফশী জাতের ২৫ হাজার ৩০৬ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর।

জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতমা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর বলেন, “ধানের দাম নেই, বাম্পার ফলন দিয়ে কী করবো? ধান চাষ না করলে জমিটা পতিত পড়ে থাকবে তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ধানের চাষ করছি। তবে এখন পর্যন্ত আমন ধানের অবস্থা খুবই ভালো। যদি এই আবহাওয়া বর্তমান থাকে, কোনো বালাইনাশকের আক্রমণ না হয়, আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয় তাহলে বাম্পার ফলনের আশা করছি। তবে কৃষকদের বাঁচাতে হলে ধানের বাজার বৃদ্ধি করতে হবে সরকারকে।”

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “চাষকৃত ধানের মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৬১ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ২৮ হাজার ৯৮৮ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ১৩০ হেক্টর। কৃষকরা এ বছর যেসব জাতের ধান চাষ করেছেন তার মধ্যে উফশী জাতের স্বর্ণা, ব্রি ধান-৩৪, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২, বিনা-৭, রঞ্জিত এবং পাইজাম উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিনি আতপ এবং বিন্না ফুল উল্লেখযোগ্য। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না হানে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে চলতি মৌসুমেও কৃষকরা আমন ধানের বাম্পার ফলন পাবে বলে আশা করছি।”

Link copied!