• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম
অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অস্ত্র মামলায় মাকসুদুর রহমান (২৯) নামের এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের পর দণ্ডপ্রাপ্ত মাকসুদুরকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই মামলায় ফিরোজ আলম পেয়ার (২১) নামের একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাকসুদুর রহমান নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার কালাদরাপ ইউনিয়নের সল্যাডগি গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত ফিরোজ একই থানার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামের আবু ছায়েদ ভূঁইয়ার ছেলে।  

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল। ভোটের আগের রাতে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা যৌথ টহল দেয়। ওই রাতে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী মাকসুদুর রহমান ও ফিরোজ নির্বাচনী এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য যান। এ সময় তারা চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু গ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট দেখে মোটরসাইকেল রেখে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে মাকসুদের দেহ তল্লাশি করে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। তাদের নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলটি এ সময় জব্দ করা হয়। পরে ওই রাতে কমলনগরের হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সেই সময়ের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মাকসুদুর রহমান ও ফিরোজ আলমকে আসামি করে কমলনগর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন।  

মামলাটি তদন্ত করেন কমলনগর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক বিপ্লব কুমার সিংহ। তিনি মাকসুদুর রহমান ও ফিরোজকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবদেন দেন। এছাড়া ফিরোজের নামে বিভিন্ন অপরাধে সুধারাম থানায় আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  

আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মাকসুদুর রহমানকে ১০ বছরের সাজা দেন। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ফিরোজকে বেকসুর খালাস দেন।

Link copied!