• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ০৩:৪৯ পিএম
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডায়ালাইসিস সেবা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। আবেদনের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মিলছে না ডায়ালাইসিসের সুযোগ। তাই দ্রুত হাসপাতালটিতে ডায়ালাইসিসের শয্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

যদিও লোকবলের অভাবে বিশেষায়িত এ সেবা চালিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

প্রবাসফেরত ফয়েজ আহম্মেদ জানান, কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ায় গত চার বছর ধরে তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয়বহুল এ সেবাটি নিতে গিয়ে এখন অনেকটা নিঃস্ব তিনি। তাই তুলনামূলকভাবে খরচ কম হওয়ায় ফেনীর এই হাসপাতালে আবেদন করে মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও সুযোগ না পেয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন যেন ফিকে হয়ে আসছে তার।

জানা যায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের পুরোনো ভবনে স্থাপিত হয় ১০ শয্যার এই হেমোডায়ালাইসিস বিভাগ। এখানে প্রতিদিন ৩ শিফটে ২৭ জন রোগী ডায়ালাইসিস করাতে পারেন। প্রতিবার ডায়ালাইসিস করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ ৪০০ টাকা খরচ হয়। প্রতি শিফটে ৪ চিকিৎসকসহ নার্স ও টেকনিশিয়ান মিলে ১০ জনকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। হেপাটাইটিস ‘বি’ ও হেপাটাইটিস ‘সি’ আক্রান্তদের জন্য তিনটি শয্যায় ডায়ালাইসিস সেবারও ব্যবস্থা রয়েছে। আর কিডনি রোগীদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডায়ালাইসিস করতে হয়। ফলে ডায়ালাইসিসের একটি বেড যেন সোনার হরিণ হয়ে দাড়িয়েছে ভুক্তভোগীদের কাছে। ফেনীর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালসিস সেবা চালু থাকলেও তা অনেকটা ব্যয়বহুল।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্তকর্তা ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, “দিনদিন কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই সেবা প্রদানে আমাদের হিমশম খেতে হচ্ছে।”

আসিফ ইকবাল আরও জানান, এই ইউনিটটি চালু হওয়ার পর থেকে এখান থেকে দুই শতাধিক কিডনি রোগী ডায়ালসিস সেবা নিয়েছেন। তারপরেও এখনো প্রায় তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়ে আছে। যাদের অনেকেই হতদরিদ্র অথবা মধ্যবিত্ত। কখন তারা সুযোগ পাবে এর কোনো নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।

Link copied!