স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামার বসতবাড়ি ও নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মান্দা উপজেলার মৈনম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মামুদ গামার তিনজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১৩টি মোটরসাইকেলে ২৬ জন লোক স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামার বসতবাড়ি ও নির্বাচনী অফিসের দিকে আসছেন। মোটরসাইকেলগুলোতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ বাবুর নির্বাচনী স্টিকার লাগানো রয়েছে। অনেকের হাতে লাঠিসোটাও দেখা গেছে।

এছাড়া অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যুবককে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের লাঠিসোটা হাতে ধাওয়া করতে দেখা গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ ও তার নেতাকর্মীরা। তারা হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ বিষয়ে ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা বলেন, “নির্বাচনে আমি ট্রাক প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই আমার জনপ্রিয়তায় নৌকার প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ বাবু ভীত হয়ে পড়েন। আমার সমর্থকদের ওপর ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করতে প্রতিদিন দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে তার ক্যাডার বাহিনী। আগেই ধারণা করেছিলাম তারা আমার বাড়িতে হামলা চালাতে পারে। সেজন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ছিল। হামলাকারীদের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।”

মামুদ গামা আরও বলেন, “তারা (নৌকার সমর্থক) এসে প্রথমে আমার বাড়িতে এবং নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাঙচুর করেছে। বাড়িতে আমার যে ফার্মেসি ছিল তা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। নির্বাচনী অফিসে আমার প্রতীক সম্বলিত ব্যানার ও পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এই ভাঙচুরে বাধা দিতে এলে তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে নৌকার ক্যাডার বাহিনী। তাদের মধ্যে একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবুর মোবাইলে একাধিকার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে বাবুর সমর্থক ও মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মণ্ডল জানান, নৌকার সমর্থকরা আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার চালাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। একটি ফার্মেসিও ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।