• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.লীগের সাবেক সভাপতি


মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.লীগের সাবেক সভাপতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

একই দিন বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও দুবারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “মাঠ পর্যায়ে পর্যালোচনার পর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। গেল দুবার আমি এ আসন থেকে জয়ী হয়েছি। ১০ বছরে জেলার বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন দেখে মানুষ আবারও আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে। কারণ, আমাদের দল সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী, পাশাপাশি অঙ্গসংগঠনগুলো।”

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি কোনো বিভেদের বিষয় নয়, এটি দলের হাইকমান্ড পর্যবেক্ষণ করছে। বিদ্রোহী প্রার্থী থাকতেও পারে। তবে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দলের নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে থাকবে। আর জেলার উন্নয়ন দেখে সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট দেবে।”

এ সময় জেলা নির্বাচন অফিসার মো. ওয়ালিউল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান মন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, “মন্ত্রী ডামি ক্যান্ডিডেট ও বন্দুকের গুলি নিয়ে যে কথা বলেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, ডামি ক্যান্ডিডেট বলে কোনো কিছু নেই। আর বন্দুক দিয়ে শুধু গুলিই বের হয় না, ফুলও বের করা যায়।”  সে ফুল দিয়ে জনগণের ভালোবাসা জয় করবেন বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “যারা গুলির কথা বলে, তারা মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখে। আর আমরা ওই বন্দুক দিয়ে ফুল বের করি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী।“

প্রশাসনের উদ্দেশে অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চাপ আছে, দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য। তাই আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করুন। কারও পক্ষ নেবেন না। পক্ষ নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আওয়ামী লীগ, ক্ষতি হবে দেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।’

তিনি আরও বলেন, “একটি পরিবারের হাত থেকে আওয়ামী লীগকে আমরা রক্ষ করতে চাই। এ জন্যই নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে প্রার্থী করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পরিবারতন্ত্র নয়।“  

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, আব্দুল মান্নান ছোট, শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এ এম এ এস ইমন, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!